প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪১
ফরিদগঞ্জে ৫ আগস্টে নিহত শাহাদাতের মায়ের প্রতি গর্ভধারিণীর এ কেমন আচরণ?

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শাহাদাতের মায়ের অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছেন তারই পরিবারের লোকজন। অধিকার আদায়ের জন্যে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন নিহত শাহাদাতের মা শিরতাজ বেগম। এদিকে শাহাদাতের পূর্ণ অধিকার নিয়ে বিভিন্ন অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নানী মমতাজ বেগম। অর্থ লোভে নিজের মেয়েকে তার সন্তানের অধিকার থেকে বাদ দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন। বিভিন্ন অফিসে গিয়ে করছেন মিথ্যাচার। এমন ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের। জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফরিদগঞ্জ থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শাহাদাত। নিহত পরিবারের লোকজনকে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি। এতে লোভে পড়ে যান শাহাদাতের নানী মমতাজ বেগম। পুরো টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেন একের পর এক মিথ্যাচার। যাতে করে শাহাদাতের মা কোনো ভাবেই কোনো সুবিধা না পায় সেজন্যে ঘুরছেন বিভিন্ন অফিসে। টাকার লোভে নিজের সন্তানকে বাদ দিতে একটু চিন্তা করেন নি সিরতাজের মা মমতাজ বেগম। ছেলেকে হারিয়ে ভীষণ শোকাহত শাহাদাতের মা শিরতাজ বেগম। তার গর্ভধারিণী মায়ের কর্মকাণ্ডে বিব্রত প্রশাসনও।
|আরো খবর
স্থানীয় লোকজন বলেন, শাহাদাত জন্মের কয়েক বছর পর তার বাবাকে হারান। তখন থেকে ছেলে শাহাদাতকে নিয়ে এই বাড়ি ওই বাড়িতে কাজ করে বেড়াতেন মা শিরতাজ বেগম। মাঝে মাঝে নানীর বাড়িতে বেড়াতে যেতেন শাহাদাত। মূলত শাহাদাতকে লালন পালন করেছেন তার মা শিরতাজ বেগম। নানীর বাড়িতে আসা যাওয়া করাকে যদি মনে করেন তার বাড়িতে বড়ো হয়েছে, তাহলে বিষয়টি মিথ্যা। শাহাদাত বেশির ভাগ সময় তার মায়ের সাথেই ছিলেন। শাহাদাতের নানী মমতাজ বেগম বলেন, শাহাদাত আমাদের বাড়িতে বেশি ছিলো, তার মায়ের কাছে না। তাকে আমরা লালন পালন করে বড়ো করেছি।
অন্যদিকে শাহাদাতের মা শিরতাজ বেগম বলেন, শাহাদাতের বাবা চলে যাওয়ার পর আমি মানুষের বাসায় কাজ করে শাহাদাতকে বড়ো করেছি। তাকে বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করিয়েছি। সর্বশেষ সে আমার সাথে ফরিদগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। সেখানে থেকেই সে ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। শাহাদাত গুলিবিদ্ধ হয়ে মরে যাওয়ার পরে বিভিন্ন ব্যক্তি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে চরিত্র পরিবর্তন করে ফেলেন আমার মা মমতাজ বেগম। টাকার লোভে আমাকে পর্যন্ত বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। আমাকে আমার সন্তানের কবর পর্যন্ত দেখতে দেন না তিনি। যারা আমার সন্তানকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করবো, যাতে সঠিক তদন্ত করে এর বিচার করা হয়।