প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:০৭
কচুয়ায় বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে হয়রানির অভিযোগে গ্রাম পুলিশের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা

কচুয়ার খিলমেহের গ্রামের রঞ্জন আলী মাস্টারের বাড়িতে ছিকু মিয়া নামের ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে গ্রাম পুলিশ সুরুজ মিয়া কর্তৃক নিহতের পরিবারকে হয়রানির অভিযোগে প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকেলে উপজেলার খিলমেহের গ্রামে স্থানীয় গ্রামবাসীর আয়োজনে ছিকু মিয়ার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এমন দাবি করে প্রতিবাদ সভায় গ্রাম পুলিশ সুরুজ মিয়ার শাস্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভায় নিহতের ছোট ভাই মো. নাসির উদ্দিন বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে তার বড় ভাই ছিকু মিয়া নিজ গৃহে বাথরুমে পড়ে গিয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরবর্তীতে ঢাকার পিলখানার বিজিবি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই রাতে তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশি সুরতাহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন দুপুরে নিহতের লাশ দাফনের জন্যে মাইকিংসহ দাফনের প্রস্তুতি নেয় নিহতের পরিবার। এ সময় সেঙ্গুয়া গ্রামের স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সুরুজ মিয়া এসে নিহতের পরিবারের কাছে পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে লাশ দাফন করতে হবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। এ নিয়ে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে গ্রাম পুলিশের হাতাহাতি ও তর্ক বিতর্ক হয়। পরে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ওইদিন চাঁদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিনা ময়না তদন্তে আবেদন করে অনুমতি এনে খিলমেহের গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে নিহতের লাশ দাফন করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রাম পুলিশ সুরুজ মিয়া কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কয়েকজনকে বিবাদী করে তাকে মারধরের অভিযোগ এনে নিহতের জামাতা আরিফসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তবে আরিফ গ্রাম পুলিশকে মারধরের সাথে জড়িত নয় বলে জানান এলাকাবাসী। এছাড়া সুরুজ মিয়ার কারণে লাশ দাফনে বিলম্ব হয়েছে ও মিথ্যা অভিযোগের কারণে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে--এমন অভিযোগে সুরুজ মিয়ার বিচার চেয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নিহতের পুত্র শরীফুল ইসলাম, ভায়রা ভাই লোকমান হোসেন, স্থানীয় অধিবাসী রবিউল ইসলাস, সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক ও দেলোয়ার হোসেন সহ আরো অনেকে।