সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:০২

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজান চৌধুরীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

অনলাইন ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজান চৌধুরীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, প্রথিতযশা পার্লামেন্টারিয়ান, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, ভাষা সংগ্রামী, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান মিজানুর রহমান চৌধুরীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) পালিত হয়েছে। একই দিনে তাঁর বড়ো ছেলে আব্দুল্লাহ মিজানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীও পালিত হয়।

এ উপলক্ষে মরহুমের পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে রোববার বাদ আসর মরহুমের ঢাকাস্থ গুলশানের বাড়িতে ও চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার মিজান চৌধুরী বাড়ির বাইতুল হাফিজ জামে মসজিদে মিজানুর রহমান চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী সাজেদা মিজান ও জ্যেষ্ঠ পুত্র দীপু চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের মেজো ছেলে আমানুল্লাহ মিজান রাজু চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মিজানুর রহমান চৌধুরী ১৯২৮ সালের ১৯ অক্টোবর চাঁদপুর জেলার পুরাণবাজারস্থ পূর্ব শ্রীরামদী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মো. হাফিজ চৌধুরী এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ মাহমুদা বেগম। কলেজ থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। যখন শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেও গ্রেফতার হন।

আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় তিনি সম্মিলিত বিরোধী দলের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০-এর নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩-এর সংসদেও তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলে আবদুল মালেক উকিল এবং মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দুটি পৃথক ধারার সৃষ্টি হয়। আশির দশকের শুরুর দিকে মিজানুর রহমান চৌধুরী হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারকে সমর্থন দেন এবং ১৯৮৪ সালে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এরশাদের আমলে তিনি প্রথমে তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৬ সালের ৯ জুলাই থেকে ১৯৮৮ সালের ২৭ মার্চ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের মার্চ মাসের শেষদিকে মওদুদ আহমেদ তাঁর স্থলে প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯০ সালে এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিলে তাঁকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

এরশাদ জেলে থাকাকালীন মিজানুর রহমান চৌধুরী জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে মিজানুর রহমান পুনরায় আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জীবদ্দশায় তিনি 'রাজনীতির তিনকাল' নামে একটি বই লিখেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়