প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২০
রেলওয়ের লিজকৃত পুকুরে জোরপূর্বক মাছ শিকারের চেষ্টা
চাঁদপুর শহরের ক্লাব রোড সংলগ্ন সরকারি লিজকৃত একটি পুকুরে দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক মাছ শিকারের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে হামলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী লিজগ্রহীতা মো. শাহনুর বেপারী। পরে সদর মডেল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে মাছ শিকার বন্ধ হয়। জানা যায়, পুকুরটি চাঁদপুর রেলওয়ের মালিকানাধীন, যা নিয়ম অনুযায়ী মো. শাহনুর বেপারীকে লিজ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ক্লাব রোডের রহিম গাজী, মোস্তফা, কবির ও হযরত আলীসহ বেশ ক’জন জোর করে পুকুর থেকে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে। লিজগ্রহীতা মো. শাহনুর বেপারী তাদের বাধা দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে হামলার হুমকি দেয়। পরে গত ২২ ডিসেম্বর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পৌর ৭নং ওয়ার্ডের ক্লাব রোড এলাকার রহিম গাজীসহ অজ্ঞাতনামা ২৩ জনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মডেল থানার এসআই আওলাদ হোসেন সরজমিনে তদন্তে যান। এরপর আবারও ২৫ ডিসেম্বর রাতে অভিযুক্ত রহিম গাজীসহ দুর্বৃত্তরা জোর করে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ডিউটিরত মডেল থানার এসআই শাহজাহান ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা প্রদান করেন। তাতেও রহিম গাজীর লোকজন ক্ষান্ত হননি। পরে আনুমানিক রাত ২টার সময় মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহার মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন। এ ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী লিজগ্রহীতা মো. শাহনুর বেপারী চাঁদপুর মডেল থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরিতে তিনি পুকুরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ঘটনায় প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে যে কোনো সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর রেলওয়ে ক্লাব রোড সংলগ্ন এলাকায় সরকারি দিঘি লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছেন মো. শাহনুর বেপারী। ওই দিঘি দেখাশোনা করেন দেলা বেপারী। এতে বিবাদী রহিম গাজীর কোনো পাওনা বা সংশ্লিষ্টতা নেই। রহিম গাজী দিঘিটি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার জন্যে দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছেন। আগেও দিঘির সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে দেন তারা। গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রহিম গাজী লোকজন নিয়ে শাহনুর বেপারীর লিজকৃত দিঘিতে জোরপূর্বক মাছ ধরে নেয়ার চেষ্টা করলে শাহনুর বেপারী বিবাদীদের বাধা দেয়। এতে রহিম গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে শাহনুর বেপারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করার জন্যে এগিয়ে যান। পরে শাহনুর বেপারী ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা চলে যান। যাওয়ার সময় রহিম গাজী শাহনুর বেপারীর লিজকৃত দিঘি জোর করে দখল করবেন এবং কেউ বাধা দিলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার প্রকাশ্যে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি প্রদান করেন। চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহার মিয়া জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।