প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০
বিজয় দিবসে মতলব উত্তরে আমির হোসেন মিয়াজী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ
১০ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, গত ১৫ বছরে জিয়া পরিবার এতোই নির্যাতিত হয়েছে যে, ব্রিটিশ আমলেও এমন নির্যাতনের রেকর্ড নেই। শুধু তাই নয়, '৭১-এর পর থেকেও নির্যাতন সহ্য করে দেশের মানুষের পাশে থেকেছে জিয়া পরিবার।
মহান বিজয় দিবস সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) উপলক্ষে মতলব উত্তরে নিশ্চিন্তপুর আমির হোসেন মিয়াজী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, ইতিহাস ভুলে যায় নি। আওয়ামী লীগ এটা স্বীকার করে নি। তারা স্বীকার না করলেও বইয়ের পাতা থেকেও মুছে ফেলা যায় নি। প্রকৃত ইতিহাস কখনোই মুছে ফেলা যায় না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হলে সব দায়ভার বিএনপির ওপর পড়বে। কারণ, বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা চেয়েছে। আর ছাত্র- জনতা তা সমর্থন করে আন্দোলন করেছে। যার ফলস্বরূপ বাংলা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে।
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, আন্দোলনের সকল রূপরেখা তারেক রহমান আগেই করেছেন। ছাত্রদের পেছনে থেকে আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি। বাংলাদেশের জনমানুষের কথা, দেশের কথা, মানুষের চরম দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের রূপরেখা বাস্তবায়ন হয়েছে। সর্বকালেই বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ৮৫ ভাগ। তবে স্বৈরাচারের সময় কিছু মানুষ অত্যাচার, নির্যাতন থেকে বেঁচে থাকতে মিল দিয়ে ছিল। কখনোই ১৫ ভাগের বেশি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ছিল না। এখন বর্তমান অবস্থা দেখেও বুঝতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডীন ও আমির হোসেন মিয়াজী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি (কুমিল্লা বিভাগ)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া। বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী পুত্র ও জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শুক্কুর পাটোয়ারী।
সমাজসেবক মাহমুদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন নিশ্চিন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন মাস্টার ও মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক।
সকাল ১০ টায় নিশ্চিন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাঠে মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। ক্যাম্পে ১০০ জন গুণী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবা দিয়েছেন এবং প্রায় ১০ সহস্রাধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ গ্রহণ করেছেন।