প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯
জেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সকল উপার্জিত অর্থ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় হবে : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন
মহান বিজয় দিবসে ৩৭৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। ফুলেল শুভেচ্ছায় তাঁদের সম্মানিত করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) বেলা সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর ক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলার এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি আলোচনা করতে নয়, আপনাদের ধন্যবাদ দিতে এসেছি। সম্মান বিষয়টি আপেক্ষিক। মানুষকে সম্মান দেয়ার একটা সর্বোচ্চ উপায় হচ্ছে ফুল দিয়ে বরণ। মানুষকে শ্রদ্ধা বা ভালোবাসা জানানোর উৎকৃষ্ট একটাই মাধ্যম ফুল। আমি আসলে বেশি আপন করে নিতে নিজের হাতে ফুল দিতে চেয়েছি।
ডিসি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামী। একমাত্র কেয়ামতই বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে পারবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটাই। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে মুক্তিযোদ্ধারাই শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়ে থাকবে। দেশটা স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা একেকজন বিভিন্ন মাধ্যমে উপার্জন করে বেঁচে আছি। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যেভাবে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা, সেভাবে দাঁড়ায় নি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপার্জিত অর্থ ব্যয় হবে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে। শুধু এ চাঁদপুরেই নয়, সারাদেশের সংসদগুলোতেই একই অবস্থা। সংসদটা যেন তার মর্যাদা পায় তার ব্যবস্থা করছি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে সকল মুক্তিযোদ্ধার জন্যে উন্মুক্ত করেছি। এই সংসদের প্রতিটি ইঞ্চির মালিক হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা। এর সকল উপার্জিত অর্থ আপনাদের কল্যাণে ব্যয় হবে। আজকের দিনটা শুধু আপনাদের জন্যে। এ দিবসটিতে সবাই সংবর্ধিত হবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সবাই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম ও চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।
সংবর্ধনার জবাবে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার, সিরাজুল ইসলাম বরকন্দাজ, চাঁদপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ড. কাজী হাশেম, ব্যাংকার মো. মুজিবুর রহমান, মো. শাহজাহান গাজী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের যৌথ সঞ্চালনায় ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত ও সাংবাদিক বিএম হান্নান। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছানাউল্লাহ খান এবং গীতা পাঠ করেন সাধন সরকার। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন, জেলা জামাতের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মো. শাহাজান মিয়াসহ মুক্তিযোদ্ধাগণ, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।