মাটি বিক্রির প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে : পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আবু সুফিয়ান

আইইউজিআই প্রকল্পের আওতাধীন ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। এই ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে খননের মাটি রাতের আঁধারে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গুঞ্জন উঠেছে, এই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএস রহমান ইন্টারন্যাশনালের যে সকল প্রতিনিধি ড্রেন নির্মাণের কাজ করছেন, তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিশেষ একটি মহল ড্রেন খননে উত্তোলিত মাটি অন্যত্র বিক্রি করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম মিসু জানান, আমাদের মার্কেটের সামনের অংশের ড্রেন খননের সময় মাটিগুলোকে বেহাল অবস্থায় থাকা এআর হাই স্কুলের প্রবেশের সড়কে ফেলে স্থানীয় মানুষের চলাচলের সুবিধা করে দেয়ার জন্যে বলি। কিন্তু তা করা হয়নি। বরং কে বা কারা রাতের আঁধারে ড্রেনের মাটি নিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে আব্দুর রাজ্জাক রাজা নামক এক ব্যক্তিকে ড্রেনের কাজে উত্তোলিত মাটি দিয়ে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার কিছু অংশ সংস্কার করতে দেখলে কথা হয় তার সাথে। 'কোথা থেকে এলো এই মাটি' এমন প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, সিএনজি ও বিভিন্ন পরিবহন চালকদের গাড়ি রাখার সুবিধার্থে আমি ব্যক্তিগতভাবে বাসস্ট্যান্ড এলাকার কিছু অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নেই। এজন্যে ফরিগঞ্জ পৌরসভার ড্রেনের কাজে উত্তোলিত মাটি চাই। কিন্তু তা পাইনি। পরে আমি সেই মাটিই অন্য জায়গা থেকে কিনে বাসস্ট্যান্ড এলাকার কিছু অংশ সংস্কার করছি।

রাতের আঁধারে ড্রেন খননের জন্যে উত্তোলিত মাটি কোথায় যাচ্ছে তার খোঁজে অনুসন্ধান করলে ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়কের বেলতলা এলাকায় সড়কের পাশে একটি ফসলি জমি ভরাট করতে দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, নিয়ম অনুযায়ী ড্রেন থেকে মাটি উত্তোলনের পর ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হলে ড্রেনের দুপাশের গর্ত পূরণ করতে হবে এই মাটি দিয়ে। এর বাইরে অতিরিক্ত মাটি কী করবে বা কোথায় যাবে এটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বিষয়। যথাযথ নিয়ম মেনে ড্রেনের নির্মাণ কাজ হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা আমার কাজ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আবু সুফিয়ান বলেন, ড্রেন নির্মাণ কাজের

মাটি বিক্রি হচ্ছে এ রকম কোনো প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

:

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ড্রেন খননের মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়কের পাশের ফসলি জমি।