প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৪৪
লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে শহীদ জিয়ার আদর্শকে লালন করাই হোক ৭ নভেম্বরের চেতনা
......অ্যাডঃ ইকবাল- বিন-বাশার
আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এদিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭৫ সালের এইদিনে বাংলাদেশের সৈনিক ও সাধারণ জনগণ এক হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যে সংহতি প্রদর্শন করেছিলেন। এই দিনটি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্মরণীয় দিন। দেশপ্রেমিক সিপাহি-জনতা এদিন মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে জাতীয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাঝে যে দেশপ্রেম ছিল, তিনি যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে। আর এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদেরকে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ এবং লালন করতে হবে। কথাগুলো বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও চাঁদপুর শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডঃ ইকবাল বিন বাশার।
|আরো খবর
তিনি ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলাবাসী তথা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের প্রতি এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ করতাম। পরে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগ দেই। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলাম। নেতা জিয়াউর রহমান আমাকে চট্টগ্রাম বিভাগে ছাত্রদল গোছানোর দায়িত্ব দেন। আমার হাতের গড়া ছাত্রদলের অনেক নেতা জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রেখেছে। দল করে কখনো লোভ-লালসা করিনি। জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে সাধারণ মানুষের কাতারে সবসময় ছিলাম। আজকের দিনে জিয়ার সৈনিকদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, সকল ধরনের লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে শহীদ জিয়ার স্বপ্ন স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আপনারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন। এই দেশ-মানচিত্র যেনো শুধু আমাদেরই থাকে। আমরা যেনো দেশটাকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি।