বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:০১

হাইমচরে গোপন ভিডিও প্রকাশের হুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি ॥
হাইমচরে গোপন ভিডিও প্রকাশের হুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

গোপন ভিডিও প্রকাশ করার হুমকিতে ব্ল্যাকমেল করায় তিন সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী হালিমা আক্তার (৩৫) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় হাইমচর উপজেলার নয়ানী এলাকার প্রবাসী রফিক কাজীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। হালিমা আক্তারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন হাইমচর থানা পুলিশ।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নয়ানী গ্রামের রফিক গাজীর সাথে ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের ফজল হক ভূঁইয়ার মেয়ে হালিমার সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে প্রবাসে চলে যান রফিক কাজী। তিনি ৫ বছর যাবৎ সৌদিআরব রয়েছেন। তার স্ত্রী হালিমা আক্তারের সাথে পাশর্^বর্তী ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের আসমান খানের ছেলে ইমানের সাথে ভাই-বোনের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের গভীরতায় ইমান হালিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। স্বামী সন্তান রেখে তার সাথে যেতে রাজি না হওয়ায় ইমান তার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরদিন সকালে হালিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্বামীর বাড়ির লোকজন হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাইমচর থানা পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। ময়নাতদন্ত শেষে হালিমার লাশ তার বাপের বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

হালিমা আক্তারের বড় বোন রেহেনা আক্তার জানান, তার বোন বাখরপুর এলাকার আসমান খানের ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলতো। কথা বলার মাঝে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক তৈরি হলে বখাটে ছেলে জোর করে হালিমার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে। গতকাল রাতে ইমান আমার বোনকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। সে রাজি না হওয়ায় বখাটে ছেলেটি তার গোপন ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। আমার বোন বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে ইমান তার বন্ধু লিটনকে দিয়ে আবারও ফোন করে গোপন ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। সম্মানহানি হওয়ার ভয়ে আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার বোনের এ আত্মহত্যার পেছনে সরাসরি জড়িত আসমান খানের ছেলে ইমান। আমরা তার বিচার চাই।

অভিযুক্ত ইমান খানের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়