প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:১৯
বালু উত্তোলন বন্ধে মনোযোগী নয় কেন প্রশাসন?
মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদী থেকে পশ্চিম লালপুর ও চর চারআনি গ্রাম ঘেঁষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ঝুঁকিতে ফসলি জমিসহ শত শত ঘরবাড়ি। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে ২১ অক্টোবর সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছে পশ্চিম লালপুর ও চর চারআনি গ্রামের শত শত মানুষ।
|আরো খবর
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দিনে ও রাতের আঁধারে একটি অসাধু মহল নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে করে আমাদের অনেক কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করায় আমাদের শত শত ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোনো সময় আমাদের ঘরবাড়ি নদীতে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই আমরা চাই উপজেলা প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। বক্তারা আরও বলেন, বেশ কিছুদিন আগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত দরখাস্ত করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই আমরা হতাশাগ্রস্ত। অতি দ্রুত এর ব্যবস্থা না নিলে আমাদের ঘরবাড়ি রক্ষা করা যাবে না।
এদিকে মানববন্ধনকারীদের সান্ত্বনা দিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে যৌথবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হবে। তবুও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে। সবাই প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখবেন।
মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখার যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেটা বিবেচ্য। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে যাবার পরও যখন বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা দেখা যাবে না, তখন এই আহ্বান নিরর্থক হয়ে যাবে। আমাদের কথা হলো, প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়ে মনোযোগী নয় কেন?--কোনো চাপে বা প্রভাবে?--কোনো অদৃশ্য ইঙ্গিতে?