প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২৬
চাঁদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা
অভিযান চলাকালে কোন জেলেকে নদীতে নামতে দিবো না
- জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে (১৩ অক্টোবর-৩ নভেম্বর) ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ বাস্তবায়নে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ২ অক্টোবর সকালে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনের কক্ষে এ প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার ফজলুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত, নৌ পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ, সমাজসেবা কর্মকর্তা (রেজি.) মনিরুল ইসলাম, মৎসজীবী নেতা তছলিম বেপারী প্রমূখ।
সভার শুরুতে চাঁদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় এবারের অভিযান কঠোর ভাবে পরিচালনা করা হবে এবং আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করবো। অভিযান চলাকালে কোন জেলেকে নদীতে নামতে দিবো না। যদি কেউ আইন অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এই সময়টাতে যতগুলো বরফ কল আছে তা বন্ধ থাকবে। লোকাল যে বাজার গুলোতে অবৈধ ইলিশ বিক্রি হয় সে বাজারগুলো আমরা মনিটরিং করবো। শুধুমাত্র বিক্রেতা নয় রাস্তায় যদি ক্রেতাদের কাছ থেকেও ইলিশ পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টাস্কফোর্সের সাথে সাথে সেনাবাহিনী টিমও অবৈধভাবে ইলিশ বিক্রির ঘাটগুলোতে যায় সেজন্যে অনুরোধ করবো। ২৪ ঘন্টাই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
জেলা প্রশাসক বলেন, কোন জেলে কোন দুস্কৃতকারীরা প্রশাসনকে তুচ্ছ করবে তা সম্ভব না। যদি করে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনপ্রতিনিধিরা বা অন্য কেউ সহায়তা করুক বা না করুক আমরা সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করবো। যে সকল নদীর শাখা মুখ রয়েছে সেসব স্থানে কঠোর নজরদারি করতে হবে।
বালুমহল সংক্রান্তে জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের কোন বৈধ বালুমহল নেই। ইতিমধ্যে আমরা কয়েকজনকে আটক করেছি। যদি কেউ বালু উঠাতে যায় তারা অবৈধ, আর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থাকবো। কোনভাবেই নদীতে ড্রেজার চলবে না।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, দাদন ব্যবসায়ী, বরফ কল ব্যবসায়ী, মৎস ব্যবসায়ীদের সাথে একটু মতবিনিময় করার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও জেলেদের সাথে মতবিনিময় করবো। অভিযানকালীন চারটি জেলার সমন্বয়ে কাজ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে হবে।
পুলিশ সুপার ও নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে এবার “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান”-২০২৪ বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জানান। উপজেলা ভিত্তিক সচেতনতা মূলক সভা-সেমিনার করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়।