শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩২

চাঁদপুর ঘাটে ছোট ইলিশে আমদানি বেশি

বড় ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকা

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর ঘাটে ছোট ইলিশে আমদানি বেশি

ইলিশের মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর ১১দিন পর শুরু হবে নদ নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযান । এ সময় চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড়স্টেশন মাছঘাটে বড় বড় ইলিশের আমদানি থাকার কথা থাকলেও গতকাল সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চাঁদপুরের হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে,প্রচুর ছোট ছোট ইলিশ,যা আমরা স্থানীয়ভাবে কিশোর বা টেম্পু ইলিশ । তারপরও এসব ইলিশ ধুম কেনাবেচা চলছে। স্থানীয় বাজার ছাড়াও সারাদেশে অফলাইন অনলাইন ও আড়তদারদের মাধ্যমে বাক্স বন্দি করে ক্রেতাদের পাঠানো হচ্ছে।

এই বাজারের বিক্রেতারা জানান,এসব ছোট ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা ছাড়াও নোয়াখালীর হাতিয়া ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকেও জেলেরা ধরে আনছেন। আকারে ২০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মাছই বেশি। আজকের বাজারে দেখা যায়,এসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা মন দরে। তবে অধিকাংশ আড়তে ছোট ইলিশের পাশাপাশি কিছু বড় ইলিশও দেখা যায়। এর মধ্যে নোয়াখালী হাতিয়াসহ দক্ষিনাঞ্চলের ইলিশ কেজি আকারের বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ দরে। আর চাঁদপুরের লোকাল পদ্মা মেঘনার ইলিশ ২ হাজার টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি করতে দেখা যায়।

যদিও সুপ্রিম কোর্ট ইলিশের কেজি ৭০০ টাকার করার নোটিশ জারি করলেও তা বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। দেশের বিভিন্ন বাজারে পাইকার ইলিশ বিক্রেতা দেলু মিজি জানান, আজকে তিনি ১০০ মণ ছোট ইলিশ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান। আকারে ৪ থেকে ৫ টায় এক কেজি। যার মণ প্রতি তাঁর কেনা পড়ে ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে। ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০-৬০০ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

মাছঘাটের আড়তদার ও মৎস্য বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.শবেবরাত বলেন,এ সময় ছোট ইলিশ থাকার কথা না। কারণ আর ১২দিন পর মা ইলিশ রক্ষায় ২২দিনের অভিযান শুরু হবে। তখন চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীতে কোনো ধরনের মাছ ধরা যাবেনা। কিন্তু প্রতিদিন বাজারে যে পরিমান ছোট ইলিশ দেখা যায়,আর অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিমও নেই। এতে আমরা চিন্তিত এই অভিযান নিয়ে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আমিরুল ইসলাম বলেন,আমরা প্রতি বছর মা ইলিশ নিয়ে গবেষনা করে থাকি কখন কোথায় তারা ডিম দেয়। কোথায় কখন বড় হয়। তার উপর নির্ভর করে এ বছরও আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। তবে বাজারে ছোট ইলিশের বিষয়ে বলবো নদীতে সব ধরনের ইলিশ আছে। তাছাড়া অনেক জেলে কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে এসব ছোট ধরা পড়ছে বলে মনে করি। এখনতো কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তারপরও আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়