প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৪, ২০:২৪
বর্ষা ও অতিবৃষ্টিতে চাঁদপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
মাছ ধরার উৎসব
চাঁদপুরে গত ৪দিনের অতিবৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চাঁদপুর সেচ প্রকল্পসহ বহু এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। শহরের কিছু রাস্তাসহ গ্রামীণ জনপদের রাস্তাঘাট, খাল-বিল, পুকুর জলাশয় ও ফসলি মাঠ পানিতে
|আরো খবর
টুইটুম্বুর। চারদিকে পানিতে থৈথৈ করছে। মেঘনা নদীর পানি জোয়ারে বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও বিভিন্ন জায়গার ঢলের পানি নামার সময় নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চাঁদপুরেও বন্যার আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
পানি নিস্কাশন না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা। শত শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। যার ফলে লোকজন খাবারের কষ্ট এবং গৃহপালিত পশু নিয়ে খুবই দুর্বিসহ দিনযাপন করছেন। একই সাথে গত দুইদিন এই এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকার্ড হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরজমিন দেখা গেছে পৌরসভার তালতলা, নাজিরপাড়া, সদর উপজেলার বাগাদী, বালিয়া, লক্ষীপুর হানারচর ইব্রাহিমপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা, কড়ইতলি, পৌরসভা, গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে অতি বৃষ্টির কারণে বহু রাস্তা, ঘর বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত।চাঁদপুর সদর ইউএনও জানিয়েছেন দুর্যোগ মোকাবেলায় পৌর ও ইউনিয়ন এলাকায় ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ জানান , টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় জেলার কয়েকটি উপজেলায় লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে শাহরাস্তি উপজেলায় ২৮ হাজার ৯৪০ পরিবার, হাজীগঞ্জ উপজেলার এক ইউনিয়নে ১২ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪ইউনিয়নে ৬০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সদরের ৮ ইউনিয়নে ৮০০ এবং হাইমচরে ১হাজার পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ নরজদারিতে রাখা হয়েছে। পদ্মা-মেঘনার পানির বর্তমান লেভেল হচ্ছে ৩.৭৮ মিলিমিটার।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. রহুল আমিন বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সেচ প্রকল্প এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্প এলাকা হচ্ছে ১০০ কিলোমিটার। আমরা পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছি। পানি কমালেও বৃষ্টিতে আবার একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের পাম্প হাউজ ছাড়াও প্রকল্প এলাকার হাজিমারা পাম্প হাউজ দিয়ে পানি নিস্কাশন করা হচ্ছে। আশা করি বৃষ্টি কমলে দুদিনের মধ্যে পানি স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।
সদর উপজেলা সরকারি মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সদর উপজেলায় ১৬০০ উপরে মাছচাষী রয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে প্রায় ৩০ শতাংশ পুকুর জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।