প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৩৪
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চাঁদপুরে শুভ জন্মাষ্টমী
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা
চাঁদপুরে আসন্ন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ আগস্ট বুধবার বেলা বারোটার সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান।
|আরো খবর
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ ইয়াসির আরাফাত, সদর ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকত, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাঁদপুর জেলা সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সহ সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি পরশ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সরকার, শারদঞ্জলির রিপন সাহাসহ মন্দির ও পূজা কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সভা প্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, এখানে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুভ জন্মাষ্টমী উদ্যাপনের অনুরোধ জানান।
তিনি সকল সনাতনীদের শুভ জম্মাষ্টমীর আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং তার বদলীজনিত বিষয়টি তুলে ধরে সকলের কাছ থেকে বিদায় নেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাঁদপুর সার্কেল বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং জম্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা সন্ধ্যার আগেই সমাপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তার যথাসাধ্য নিশ্চয়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় তার বক্তব্যের শুরুতে বর্তমান সংকটময় সময়ে চাঁদপুরের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভুমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আসন্ন জম্মাষ্টমী উদযাপনে সার্বিক সহযোগীতার আহ্বান জানান।
সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ গত ৫ আগষ্টের পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের টেলিফোন এবং তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করে চাঁদপুরের আইন শৃঙ্খলা অন্যান্য জেলার চেয়ে অধিকতর নিয়ন্ত্রন করে শান্তি স্থাপনের জন্য আবেগঘন হয়ে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী বলেন, ঢাকাস্থ কেন্দ্রিয় পূজা উদযাপন কমিটির সভায় উপস্থিত হয়ে সারা দেশের আগত সনাতনী নেতাদের মুখে যে বিভৎস্মতার কথা শুনেছি, সেই তুলনায় চাঁদপুরের চিত্র অনেক ভাল ছিল। এজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
গোপাল চন্দ্র সাহা তাঁর বক্তব্যে বিগত এরশাদ সরকারের সময়ে সনাতনীদের জন্য জম্মাষ্টমীতে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষনা করলেও অষ্টম সংশোধনীর মত কালো অধ্যায়ের সুচনাকে আমরা নিন্দা জানাই। তাই আজকের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রশাসনের মাধ্যমে অষ্টম সংশোধনী বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছি।
পরেশ চন্দ্র মালাকার জেলা জম্মাষ্টমী পরিষদের সভাপতি হিসেবে ২৬ আগষ্ট বিকেলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জম্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহনের অনুরোধ জানান।
কার্তিক সরকার জেলা জম্মাষ্টমীর সাধারন সম্পাদক হিসেবে জেলার সকল উপজেলা থেকে আগত প্রতিনিধিদের হয়ে জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিগত বছরের ন্যায় বরাদ্দ প্রদানের আহ্বান জানান।
রিপন কুমার সাহা শারদাঞ্জলি ফোরাম চাঁদপুর এর কর্মকান্ড তুলে ধরে ভাবগাম্ভিয্য পরিবেশে ধর্মীয় রীতি- নীতি মেনে সকলকে জম্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহনের আহ্বান জানান এবং ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে জম্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানান।