প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৫০
বন্যা দুর্গত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা
জন্মাষ্টমীর সকল বর্ণাঢ্য আয়োজন পরিহার, চাঁদপুরে হচ্ছে না শোভাযাত্রা
আবারো প্রমাণ হলো মানুষ মানুষের জন্যে, আর মানবতাই হলো বড়ো ধর্ম। চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ তাদের সিদ্ধান্তে এমনই মানবতা প্রকাশ করলেন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে পূর্ব নির্ধারিত শোভাযাত্রাসহ সকল বর্ণাঢ্য আয়োজন পরিহারের মধ্য দিয়ে ।
|আরো খবর
নেতৃবৃন্দ বন্যা দুর্গত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও তাদের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব প্রকাশের মানসিকতা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার ও সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র সরকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহাসহ বিভিন্ন মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে এক সৌজন্যে আলোচনায় মিলিত হন। সেখানে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতিসহ বানভাসি মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ পূর্বক তাদের দুঃখ, দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদকের সাথে একমত হয়ে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় বানভাসি মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে আসন্ন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ সকল আনন্দ উৎসব পরিহার পূর্বক অনুষ্ঠানে ব্যয়যোগ্য অর্থ বন্যার্তদের মাঝে ব্যয় করার আহ্বান জানান এবং মানুষের কল্যাণে জন্মাষ্টমীর দিনে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজাসহ বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে জেলা জন্মাষ্টমী পরিষদ নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানালে নেতৃবৃন্দ তা কার্যকরে একমত প্রকাশ করেন। তাদের সেই মতামতের ভিত্তিতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এই বছর চাঁদপুরে জন্মাষ্টমীর সকল বর্ণাঢ্য আয়োজন পরিহার করা হলো। যা প্রতিবছর ব্যাপক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীগণ তাদের প্রাণের পুরুষ পরমারাধ্য ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি উৎসব উদযাপন করে আসছিলেন।
নেতৃবৃন্দ মনে করেন, মানুষের কল্যাণেই ধর্ম। সেই ধর্ম পালন করতে গিয়ে যদি মানুষেরই উপকার না হয়, তাহলে আমাদের বর্ণাঢ্য আয়োজনের কী প্রয়োজন রয়েছে? বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে যদি আমাদের দ্বারা একজন বন্যার্ত মানুষ উপকৃত হয়, তাহলেই আমরা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবের সার্থকতা খুঁজে পাবো। তারা সকল মানুষের কল্যাণে প্রার্থনাও করেন।