প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:১১
শাহরাস্তিতে ছিখটিয়া ব্রিজের গোড়ায় মরণ ফাঁদ ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা
শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত ছিখটিয়া ব্রিজর গোড়ায় বিশাল একটি গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার এই ব্রিজের গোড়ায় জঙ্গলের ভেতর এই গর্ত সৃষ্টি হয়। বাহির থেকে তেমনভাবে দেখা না গেলেও কাছে আসলে দেখা যায় বড় ধরনের গর্তের দৃশ্য। গর্তটি স্থলভাগ থেকে প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতায় ব্রিজটির গোড়ায়। ব্রিজটির পাশেই বসবাসকারী হান্নান মিয়া গর্তটি দেখে তার চারপাশগুলো পরিস্কার করে দেন, যাতে করে দ্রুতগামী যানবাহনের দৃষ্টিতে গর্তটি দেখা যায়। গর্তটির মাঝে কোন যানবাহন পড়ে গেলে প্রায় ৪০ ফুট নিচে চলে যেতে হবে। এতে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হতে পারে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সড়কটির সংস্কার কাজ বিগত দুবছর আগে করা হয়েছে। এরপরও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকে সড়কটি। ছিখটিয়া ব্রিজটির দক্ষিণ পাশে সড়ক বিভাগ কর্তৃক সড়কের দুপাশে পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করে দিলেও ব্রিজটির উত্তর পাশে কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। সকলের অজান্তে ঝোপের ভেতর এই গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজটির দুপাশে বর্তমানে গড়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র। এ সকল বিনোদন কেন্দ্রে প্রতিদিন শত শত মানুষের ঢল নামে। ভ্রমণ পিয়াসু এ সকল মানুষের মাঝে যে কোনো সময় নেমে আসতে পারে মহাবিপদ।
|আরো খবর
স্থানীয় হান্নান মিয়া গর্তটির পাশেই পান সিগেরেট নিয়ে বসে থাকেন আর সুযোগ পেলেই প্রশাসন অথবা সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এই গর্তের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন হান্নান মিয়ার পরিবার। গর্তটির থেকে ৪০ ফুট ব্রিজের নিচেই তিনি তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। শুধু বিনোদন কেন্দ্রেই নয় দোয়াভাংগা হতে পানিওয়ালা সড়কটি নতুন করে সংস্কার হওয়ায় শাহরাস্তি উপজেলাসহ লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলার ভারি যানবাহন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে তাকে। ফলে বর্তমানে সড়কটির ব্যস্ততা বেড়েছে অনেকগুণ। অতিদ্রুত গর্তটি ভরাট ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থাগ্রহণ করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।