প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২১, ২২:১৫
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মামলা করা হয়েছে বললেও ওসি বললেন, না
চরবাগাদী পাম্প হাউজ এলাকায় পাউবোর সম্পত্তি দখল
চাঁদপুর সদর উপজেলার চরবাগাদী পাম্প হাউজ কোয়ার্টার সংলগ্ন ঘাসিপুর মৌজায় পাউবোর সম্পত্তি বালু ফেলে ভরাট করে দখল করে বালু ব্যবসা করা হচ্ছে। এ নিয়ে চাঁদপুর পাউবো কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেও কোনো লাভ হয়নি। অভিযোগ প্রকাশ, দখলদাররা সরকারি সম্পত্তি দখল করে নেয়। লীজের মেয়াদহীন কাগজ দেখিয়ে দখলের কাজ করছে। আর পাউবো কর্তৃপক্ষ অর্থের বিনিময়ে নীরবতা পালন করছে। এমনকি লোক দেখানো বা সরকারকে দেখাতে নামমাত্র মামলা দায়ের করে। মনে হচ্ছে দখলদারদের নিকট সকলেই জিম্মি।
|আরো খবর
একটি সূত্র জানায়, দখলদাররা ভুয়া লীজ দেখিয়ে সরকারি সম্পত্তি দখল করে নিয়ে সেখানে বালুর ব্যবসা করে যাচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে ৫/৬ বছর ধরে লীজ দেয়া বন্ধ থাকার পরও তারা কীভাবে লীজ না নিয়ে দখলের কাজ করে যাচ্ছে সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, বালু দিয়ে ভরাট করা স্থানের কিছু অংশ বহু পূর্বে মাছ চাষের জন্যে লীজ দেয়া হয়। সে লীজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর লীজ বন্ধ হয়ে পড়ে। আগের নেয়া মেয়াদহীন লীজের কাগজ দেখিয়ে ও পাউবোর কিছু অসাধু কর্মচারী এবং কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে দখলদাররা সরকারি সম্পত্তি দখল করছে। আর পাউবো কর্তৃপক্ষ যেনো মামলা করে লোক দেখানোর জন্যে। তারা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয় আড়াল করার জন্যে এই মামলা-নাটক সাজাবার গুঞ্জন উঠেছে।
স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, পাউবো কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করার পরও দখলদাররা সরকারি সম্পত্তি কীভাবে দখল করে নেয় ? তাহলে কি পাউবো কর্তৃপক্ষ থেকেও দখলদারদের ক্ষমতা বেশি ?
বালু ভরাট করে দখলকৃত সম্পত্তিতে বালু উঠিয়ে বিক্রি করে যাচ্ছে দখলদাররা। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল এসে নিষেধ করে গেলেও দখলদাররা তা অমান্য করে তাদের দখল চালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে রেফাত জামিল বলেন, সম্পত্তি দখল হওয়ার বিষয় জানতে পেরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের এখানে কোনো মামলা হয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।