প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৭
হাজীগঞ্জে খাসের খালে বানিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ শেষ পর্যায়ে
হাজীগঞ্জে খাস জমির খাল দখল করে বানিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ প্রায শেষ করেছেন এমরান হোসেন বেপারী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। উপজেলা গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামের চার রাস্তার মুখে মালিগাঁও ব্রীজের পূর্ব দক্ষিন পাশে তিনি সরকারি সড়কের শোল্ডার ও সরকারি খাল দখল করে পাকা দোকান ঘরটি নির্মাণ করেন। তিনি ওই গ্রামের বেপারী বাড়ির বাসিন্দা।
সরজমিনের ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সময় সরকারি পাকা সড়কের শোল্ডার ও খালের মধ্যে পিলার তুলে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন এমরান হোসেন। এ কারনে উক্ত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু তিনি নির্দেশনা অমান্য করে সরকারি ছুটি শুক্রবার ও শনিবারকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেন।এখন শুধু সার্টার লাগানো বাকী রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনে দিনে ব্রীজের পাশে সরকারি সড়কের শোল্ডার ও খাসের খাল দখল করে দোকানঘর তুলে চলছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে সড়কের শোল্ডার ও খাসের খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তবে এ বিষয়ে স্থানী্য কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজী হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায, পাকা দোকানটির নির্মাণ কাজ সার্টার ব্যতীত সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর পশ্চিশ পাশেই আরও একটি দোকান ঘরের নির্মানের জন্য পাকা পিলার খাল হতে তুলে রাখা হয়েছে। যে কোন সময় ওই দোকানঘরটিও নির্মাণ কাজে হাত দেয়া হবে। একই খালের উপর আরও কয়েকটি পাকা ও কাঁচা দোকানঘর রয়েছে এবং সবগুলোই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।
এমরান হোসেন বেপারীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে পরিবারের লোকজন ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি (এমরান) বাড়িতে নেই। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভি না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হালিমা আক্তার বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছি। কিন্তু তিনি (এমরান) সরকারি ছুটি (শুক্রবার ও শনিবার) কাজে লাগিয়ে পাকা দোকান ঘরটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবহিত করবো।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুর রহমান বেলাল স্থানটি সরকারি সম্পত্তি। এ বিষয়ে ইউএনও স্যার আমাকে জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল মুঠোফোনর চাঁদপুর কন্ঠকে জানান, সরকারি খাল দখল করার কোনো সুযোগ নেই। সরেজমিন পরিদর্শন করে দোকানঘরটি উচ্ছেদ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।