প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৫
হাইমচরের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন" চরম হুমকিতে পড়ার শংকা নদী রক্ষা বাঁধ
হাইমচরের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে শত শত বলগেট বালু বিক্রি করছে একটি চক্র। বালু উত্তোলনের ফলে চরম হুমকিতে রয়েছে নদী রক্ষা বাঁধ সহ পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চল গুলো। দিনের বেলায় হাইমচরের সীমানাবর্তী এলাকা হিজলায়, রাতের আধাঁরে হাইমচরের মেঘনায় কাটছে বালু। বালু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। মানচিত্র থেকে বিলীন হওয়ার আশংকা হাইমচর। হাইমচর উপজেলাকে রক্ষা করতে বালু কাটা বন্ধ করে বালু খেকু চক্রগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
|আরো খবর
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সবুজ জানান, গত রবিবার দুপুরে বালু কাটার কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি ড্রেজার গাজিপুর চরের খালের মুখে রেখেছিল বালু খেকো চক্রটি। আমি খোজ নিয়ে জানতে পারি তারা হাইমচর ও হিজলা সীমান্ত এলাকায় বালু কাটে। এখন লোক মারপতে শুনতেছি রাতে নাকি আমাদের হাইমচরেও তারা বালু উত্তোলন করে। আমাদের হাইমচরকে রক্ষায় বালু খেকো চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহন করে বালু কাটার কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার গুলোকে জব্দ করার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি।
নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের জানান, আমি জানি হাইমচরের সীমান্তবর্তী হিজলা এলাকায় বালু এবং মাটি কাটে মাটি খেকো এ চক্রটি। রাতের আধারে যদি হাইমচরে বালু কাটে তাহলে আমাদের কিছু করার নাই। এটা বন্ধ করতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, বালু কাটার সংবাদ পেয়ে আমরা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইভ লোকেশনে পুলিস সুপারের সাথে কথা বলেছি। যেখানে বালু তোলে ঐ যায়গা আমাদের সীমানা থেকে পাঁছ কিলোমিটার দুরে হিজলা এলাকায়। আমাদের এরিয়ার বাহিরে হওয়ায় আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি। রাতে হাইমচরের সীমানায় বালু তোলার বিষয়ে আমাদের জানা নেই। যদি এমন তথ্য পাই তাহলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিব।
এবিষয়ে কোষ্ট গার্ড সিসি হাইমচর এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করা হলে রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা যায় নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা জানান, বালু কাটার কাজে ব্যবহৃত ১০ টি ড্রেজার কাটাখালি ঘাটে রয়েছে জানতে পেরেছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।