শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৩৬

হাজীগঞ্জে জোড়া খুন: ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায়ী  হাছান মিয়াজী গ্রেফতার

হাজীগঞ্জে জোড়া খুন: ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায়ী  হাছান মিয়াজী গ্রেফতার
কামরুজ্জামান টুটুল

হাজীগঞ্জের বড়কুলে জোড়া খুনের ঘটনায় একই গ্রামের বাসিন্ধা আদম ব্যবমায়ী হাছান মিয়াজীকে গ্রেয়তার করেছে থানা পুলিশ।  শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাছান মিয়াজীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয় গভনিং বডির সাবেক সভাপতি,  ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও  ঢাকার বিশিষ্ট ট্রাভেলস্ ব্যবসায়ী হাছান মিয়জীকে  জোড়া খুনের ঘটনায় তাঁকে (হাছান মিয়াজী) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  শনিবার (২৮ অক্টোবর ) তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ চাঁদপুর কন্ঠকে জানিয়েছে। 

জানা গেছে, জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদেরকে পৃষ্টপোষকতার অভিযোগে হাছান মিয়াজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিন বড়কুল গ্রামের পান্নার বাড়ি পাশে (কালা সিতার বাড়ি) দুলাল সাহার বসতঘরের জানালার গ্রীল কেটে দালানঘরে প্রবেশ করে উত্তম চন্দ্র বর্মন তুফান (৭০) ও তার স্ত্রী কাজলী রানি বর্মনকে (৫৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বত্তরা।

ঘটনার পরের দিন শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের শিকার তুফান স্থানীয় রায়চোঁ (নোয়াহাট) বাজারের মাছ বিক্রেতা ছিলেন। তিনি উত্তর বড়কুল গ্রামের দাস বাড়ির মৃত হর্মণ চন্দ্র বর্ধনের ছেলে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে আটক মো. সোহাগ ও সন্দেহভাজন হিসাবে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ১২ জনসহ মোট ১৩ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে মো. সোহাগ ও মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এ ঘটনায় হত্যাকন্ডের শিকার দম্পত্তির বসত ঘরের কাঁসার মালামাল আসামী মিজানের ঘর থেকে জব্দ করে পুলিশ।

তারা আরো জানায়, ওই দিন রাতে মো. সোহাগ ও মিজানুর রহমানসহ চোর চক্র মদ পান করে চুরির উদ্দেশ্যে দুলাল সাহার বসতঘরে প্রবেশ কর। এ সময় ঘরে থাকা উত্তম চন্দ্র বর্মন তুফান ও তার স্ত্রী কাজলী রানি বর্মণ ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং তাদেরকে চিনে ফেলে। এ সময় তারা ডাক-চিৎকারের চেষ্টা করলে হাত-পা, চোখ বেঁধে বিছানার উপর বালিশ চাঁপা দিয়ে তাদেরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় চোরচক্র।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়