প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৩৫
কচুয়ায় আদালত নিষেধাজ্ঞার সম্পত্তিত্বে কাজ করায় দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া-ভাংচুর
কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দরি-গোবিন্দপুর গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও কাজ করায় আলী আশ্রাফ গং ও আবুল খায়ের গংদের মধ্যে ঝগড়া -ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে সম্পত্তিত্বে বিরোধে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
|আরো খবর
সরজমিন গেলে জানা যায়, সম্পত্তির বিরোধ থাকায় আলী আশ্রাফ গং ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৫ ধারা মতে আদালতে দরখাস্ত মামলা করেন। যার নং- ১২১২/২০২৩ইং তারিখ: ১২/১০/২০২৩ইং। একই কার্যবিধি আইনে আবুলে খায়ের গং চাঁদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে, দরখাস্ত মামলা করেন। যার নং- ৬৮০/২০২৩, তারিখ: ০৫/০৬/২০২৩ইং।
এমতাবস্থায় ২২ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে আলী আশ্রাফ গং বসত ভিটার বিল্ডিংয়ের ফিলারের কাজ করতে গেলে খায়ের গং বাধা দিলে, তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এসময় আলী আশ্রাফ গং ৯৯৯ ফোন দিলে কচুয়া থানার এসআই আনিসুর রহমান সঙ্গীয় ফোস নিয়ে সরজমিনে এসে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
নিষেধাজ্ঞা সম্পত্তির উপর কাজ করার কথা জানতে চাইলে আলী আশ্রাফ গং জানান, আমরা আমাদের সম্পত্তিতে কাজ করছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞার সম্পত্তিতে কাজ করছিনা।আবুল খায়ের গং দলবল নিয়ে এসে আমাদের কাজে বাধা দিয়ে আমাদেরকে মারধর সহ সিসি ক্যামরা ও ঘরের দরজা ভাংচুর করে।
আবুল খায়ের গং জানান, আলী আশ্রাফ গং এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ কারও কোন দেন-দরবার মানে না। তারা দীর্ঘদিন থেকে স্হানীয় মেম্বারকে জড়িয়ে ৩টি মামলা করে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও আলী আশ্রাফ গং রবিবার কাজ করতে গেলে, আমরা বাধা দেই। এতে আলী আশ্রাফ গং আমাদের সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি করে। এসময় পুলিশ আসলে ঝগড়া নিয়ন্ত্রন হয়। আমরা তাদেরকে মারধর করিনি এবং সিসি ক্যামরা সহ ঘর দরজা ভাংচুর করেনি।
উভয় পক্ষ ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছে।