প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ২১:০৩
ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে চাঁদপুরে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে চাঁদপুরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে খেলাফত মজলিস চাঁদপুর শহর শাখা।
|আরো খবর
শুক্রবার ২০ অক্টোবর বাদ জুমা শহরের বাতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে শপথ চত্বরে এ উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও শত শত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ডা. বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী।
খেলাফত মজলিস চাঁদপুর শহর সভাপতি মাওলানা এসএম সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম এবং সহ সাধারণ সম্পাদক আবু বকর খানের পরিচাৈনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মাওলানা তোফায়েল আহমদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই ইয়াহুদীবাদী ইসরাইল ১৯৪৭ সাল থেকে অদ্যাবধি ফিলিস্তিনে লক্ষ লক্ষ নিরিহ মুসলমানকে হত্যা করেছে এবং তাদের দেশ দখল করেছে। সর্বশেষ এই সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে শত শত শিশু ও নারীদের শহীদ করেছে। কথিত মানবতার দাবীদার আমেরিকা এবং ব্রিটেনসহ তাদের দোসররা ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইছে। অবিলম্বে সমস্ত মুসলিম দেশগুলো এক হয়ে এই নরপিশাচ ইসরায়েলকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে হবে।
এ সময় বক্তরা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত ইসরায়েলি হামলা বন্ধ এবং পাশাপাশি তারা ইসরাইল পণ্য বর্জনের জন্য মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সহ সাধারণ সম্পাদক হাফেজ ফারুক মোহাম্মদ নোয়াইম, জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মনির হোসেন শিপন, ইসলামী ছাত্র মজলিসের চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের জেলা যুব বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ সেলিম রেজা, ইসলামি যুব মজলিসের জেলা আহবায়ক মাওলানা মিজানুর রহমান, শ্রমিক মজলিসের জেলা সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, সাব্বির আহমদ, মাওলানা হুমায়ন কবির, মাওলানা মুফতি আবু সাইদ, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, সিয়াম, আশেক এলাহী প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। বায়তুল আমীন মসজিদ প্রাঙ্গণে দুয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।