শনিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ২১:২৬

জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর মেয়রের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা

বৃষ্টিতে ডুবে থাকে বিদ্যালয়ের মাঠসহ তৎসংলগ্ন এলাকা

কামরুজ্জামান টুটুল
বৃষ্টিতে ডুবে থাকে বিদ্যালয়ের মাঠসহ তৎসংলগ্ন এলাকা
বর্ষার বৃষ্টিতে হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় গ্রামে অবস্থিত স্বর্ণকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এভাবে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ছবিটি গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরের তোলা। ছবি : চাঁদপুর কণ্ঠ।

খোদ হাজীগঞ্জ পৌরসভার শহর এলাকা টোরাগড়। সেই টোরাগড় গ্রামের সুপরিচিত স্বর্ণকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্ষা মৌসুমে প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি বৃষ্টি হলে বিদ্যালয় মাঠে পানি আটকে চারদিকে থৈ থৈ হয়ে পড়ে। এতে করে বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীসহ তৎসংলগ্ন এলাকার বাসিন্ধারা। হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ. স. ম. মাহবুব উল আলম লিপন অত্যন্ত দায়িত্ববান মেয়র হওয়ার কারণে এই সমস্যা সমাধানে পৌর মেয়রের কাছে পানি নিষ্কাশনের প্রত্যাশা করেছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে টোরাগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অত্র ক্যাম্পাসে রয়েছে প্রায় ৩৫ বছরের পুরানো উপজেলার প্রথম ও তৎকালীন সময়ে একমাত্র প্রতিষ্ঠিত স্বর্ণকলি কেজি স্কুল এবং ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হাজীগঞ্জ স্বর্ণকলি হাই স্কুল। তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

সরজমিন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত খেলাধুলা ও শারিরিক কসরতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তাছাড়া এ মাঠে স্থানীয় ও এলাকার শিশু-কিশোরেরা প্রতিদিন খেলাধুলা করে। কিন্তু বর্ষাকাল এলেই প্রায় সময় খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। এ মাঠসহ আশপাশের বাড়ির উঠোন ও রাস্তায় পানি জমে সব একাকার হয়ে যায়। বিশেষ করে গত কদিনের টানা বৃষ্টিতে বাস্তবে এমন অবস্থা দেখা যায়। বিদ্যালয় তিনটির ক্যাম্পাস কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে প্রায় ১ ফুট নিচু হওয়ার কারণে ও বিদ্যালয়ের আশপাশের পুকুরসহ বিভিন্ন নালা-নর্দমা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। এছাড়াও হামিদিয়া জুট মিলসের পেছনের দিঘিটি (বড় পুকুর) ভরাট হয়ে যাওয়ায় গত দুই-তিন বছর ধরে বর্ষা মৌসিমে এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ে।

স্থানীয় অভিভাবক ও ব্যবসায়ী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আশপাশের বাড়িগুলো থেকে বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু। এলাকার পুকুর ও নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।

বিদ্যালয়ের পিটিআই কমিটির সভাপতি জহির আহমেদ জহির জানান, মানবসৃষ্টের কারণেই এই জলাবদ্ধতা। পুকুর, ডোবা ভরাট করে বসতবাড়ি স্থাপন হওয়ায় বৃষ্টির পানি নামার পথ নেই। যার ফলে স্কুল মাঠসহ আশপাশের বাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠ ভরাটসহ বর্ষার পানি নিষ্কাশনে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে পৌর মেয়রের সু-দৃষ্টি কামনা করি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, গত দুই বছর ধরে জলাবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমি বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন, মাটি দিয়ে ভরাট করে মাঠটি উচু করা ছাড়া মাঠের এই জলাবদ্ধতা দূর করা যাবে না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, মাঠটি অনেকটা নিচু। তাই প্রতি বছর বর্ষা এলেই মাঠটিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। স্থায়ী সমাধানের জন্যে মাঠ ভরাটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমরা অবহিত করেছি। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমরা আবারো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং পানি নিষ্কাশনে পৌর মেয়র মহোদয়ের প্রতি অনুরোধ রাখবো।

এ বিষয়ে পৌর ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মোঃ কবির হোসেন কাজী বলেন, গত দুই তিন দিনে আমি বেশ কবার এবং আজকেও (মঙ্গলবার) দুই/তিনবার ওই এলাকায় গিয়েছি। সমস্যা হচ্ছে, যে স্থান দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয় ওইস্থান ও নদীর পানির অবস্থান একই রকম হওয়ায়, পানি আটকে আছে।

আগামীতে এ সমস্যা (জলাবদ্ধতা) থাকবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন আমাদের জন্য বিশাল বরাদ্দ দিয়েছেন। পৌর ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়া অনেক এগিয়েছে। আশাকরি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়