প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ১৮:৪০
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় ৫০ বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাশপুর এলাকার পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে চলাচলরত বালুবাহী ৫০টি বাল্কহেড জব্দ ও এসব নৌযানের সাথে থাকা শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে নৌ পুলিশ।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (১জুন) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের ৫টি টিম নদীতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এসব বাল্কহেড জব্দ করে।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ফরিদ হোসেন নামে এমভি ওয়াটার হেন-৫ এর সুকানি জানান, তারা মাওয়া থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যান। তাদের কাজ হচ্ছে বহন করা। প্রতিরাতে বালুবাহী কমপক্ষে ২০০ বাল্কহেড বোঝাই করে বালু ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় পৌঁছানো হয়। তার বাল্কহেডের কাগজপত্র আছে। কিন্তু বালু বহনের জন্য কোন বৈধ কাগজপত্র নেই।
বাল্কহেড থেকে আটক হওয়া একাধিক শ্রমিক জানান, আমরা কাজ করি শ্রমিক হিসেব। বালু বহনের বৈধতার বিষয়ে মালিকরা জানে। ড্রেজারগুলো বন্ধ করে দিলে আমাদের বহনের কাজও বন্ধ হয়ে যাবে।
দুপুরে এখলাছপুর এলাকায় জব্দ বাল্কডেহগুলোতে থাকা লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং কাগজপত্র দেখেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
এ সময় চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান, মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নৌ পথ নিরাপদ রাখার জন্যই আমরা কাজ করি। আমাদের টহল বাহিনীর মাধ্যমে জানতে পারলাম বেশ কিছুদিন ধরে কিছু দুর্বৃত্ত পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু কেটে যাচ্ছে। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান,চলতি বছরের ৫ মাসে ১৫৫টি বাল্কহেড জব্দ করে মামলা দিয়েছি। এরই ধারবাহিকতায় আজকে আমরা বড় ধরণের অভিযান করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অভিযান ছিলো ত্রিমাত্রিক। অর্থাৎ রাতের আধারে আমরা বালু কাটতে দেই না। তারপরেও চুরি করে যারা কাটে তারা যেন পরিবহন করে নিয়ে যেতে না পারে সে জন্য পদ্মা এবং মেঘনা নদীতে আমাদের চেকপোস্ট রয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া কোন বাল্কহেড নদীতে চলতে পারবে না। আজকে আমরা যে ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করেছি এগুলোর প্রত্যেকটি পদ্মা নদীর কোন কোন স্থান থেকে উত্তোলন করা বালু বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। পদ্মা নদীর মাওয়া, লৌহজং, কাঁঠালবাড়ী এলাকায় যারা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তাদের কোন বৈধতা কিংবা কাগজপত্র নেই। জব্দকৃত বাল্কহেড ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।