প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৬
আশা করি এ সংগ্রাম কমিটিও সফল হবে
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনে ডাকাতিয়া নদী ও খাল সংস্কারের দাবিতে এবং কৃষক, ফসল, বনজ গাছ রক্ষা, মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবীদের রক্ষার্থে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদগঞ্জ ওনুআ পাঠাগারে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অভাবে এবং চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধ তৈরির পর থেকে অদ্যাবধি সঠিকভাবে খাল খনন না করা, দখল হয়ে যাওয়া খালগুলোর প্রধান পানির উৎস ডাকাতিয়া নদীর নাব্যতা না থাকা এবং দখল হয়ে যাওয়া খালগুলোর পানি নিষ্কাশন-সক্ষমতার অভাবে সিআইপির অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমন ঘটনা প্রতি বছর হলেও চলতি বছরে পুরো সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরের ৬টি উপজেলার মানুষকে চরম দুর্ভোগ ও বিপদে পড়তে হয়েছে। নষ্ট হয়েছে আমন আবাদ, ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছ, নষ্ট হয়েছে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যে আমাদেরকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করতে হবে সঠিকভাবে ডাকাতিয়া নদী এবং সিআইপির অভ্যন্তরের খালগুলো উদ্ধার ও সংস্কার করার জন্যে।
আলোচনা শেষে আলমগীর হোসেন দুলালকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি) রক্ষায় ডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন সংগ্রাম কমিটি, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর’ গঠন করা হয়।
আলমগীর হোসেন দুলাল একজন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ। চাঁদপুরের ইচলী থেকে ফরিদগঞ্জ পর্যন্ত ১০ মাইল সড়ককে পাকাকরণে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই আলমগীর হোসেন দুলাল মাস্টার মাইন্ডের মতো ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সড়কটি কালক্রমে উপজেলা সংযোগ সড়ক থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। শুধু কি তাই? এ সড়কটি বাংলাদেশের সড়ক মানচিত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-খুলনা রূটের দূরত্ব কমাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, আলমগীর হোসেন দুলালের নেতৃত্বে 'চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি) রক্ষায় ডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন সংগ্রাম কমিটি'র মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে এমন আন্দোলন গড়ে উঠবে, যাতে এই সেচ প্রকল্পের জলাবদ্ধতা সমস্যার টেকসই সমাধান হবে। মনে রাখতে হবে, এই আন্দোলন কোনো সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন হবে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ছয়টি উপজেলার অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে নির্দলীয় আন্দোলন। এই আন্দোলনে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ছয়টি উপজেলার প্রতিটি সচেতন মানুষ অংশ নেবে বলে আমরা আশাবাদী।