প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৮
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের লোকজনকে শুধু নয়, সাংবাদিককেও আসামী করা হয়েছে
কচুয়ায় হত্যার চেষ্টা ও মারামারির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী ও সাংবাদিক সহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে ৩শ' ৫০ জনকে। বুধবার রাতে যুবদল নেতা আতিকুর রহমান বাবুল ও ছাত্রদল নেতা মেহেরাজ হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৪ ও ০৫, তারিখ ৬/১১/২০২৪ । মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হচ্ছেন : উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম ও তার ভাই সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন বাটা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক মুন্সি, ইলিয়াছ মিয়া, বিএনপি নেতা ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন, যুবলীগ নেতা রিয়াদ, হানু মিয়া প্রমুখ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন : করইশ গ্রামের আলী আশ্রাফ মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রনি (৩২), কচুয়া থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক কচুয়া বার্তা’র স্টাফ রিপোর্টার ও করইশ গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহাগ (৩৮) এবং যুবলীগ নেতা হোসেনপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (৩২)।
|আরো খবর
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম জানান, হারিচাইল ও হাসিমপুর গ্রামে মারামারির ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২ নভেম্বর) গোহট উত্তর ইউনিয়নের মিয়ার বাজারে বিএনপির একটি কার্যালয় উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দুগ্রপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরদিন রোববার জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ‘বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে প্রকাশ, কচুয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধনকালে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মোশাররফ গ্রুপের জুয়েল হোসেন, শাহাদাত, লিটন, ফাহিম ও করিম আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অপর দিকে এহসানুল হক মিলন গ্রুপের মোস্তফা, আতিকুর রহমান, হেলালসহ আরো ক’জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ঘটনার ৪ দিন পর গত ৬ নভেম্বর মিলন গ্রুপের যুবদল নেতা আতিকুর রহমান বাবুল ও ছাত্রদল নেতা মেহেরাজ হোসেন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন কচুয়া থানায়।
এদিকে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সোহাগের গ্রেফতারের ঘটনায় তার বাবা হারুনুর রশিদ জানান, গত ২ নভেম্বর মিয়ার বাজার এলাকায় বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় আমার ছেলে সোহাগকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। প্রতিহিংসা ও মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক সোহাগ গ্রেফতারের ঘটনায় কচুয়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ক্যাপসন গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সোহাগ।