প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১১
শৈশবের ডায়েরি
সোমালিয়া সিনহা গ্রামের মানুষ খুবই সুখী। এবার আমি তাদের সুখী হওয়ার গল্প টা ফুটিয়ে তুলি। এ গ্রামের মানুষ আগে সেরকম সাহিত্য, সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ছিল নাহ। তাদের পাশের গ্রাম উটকোপুর। সে সমাজের মানুষ সকলে উচ্চ শিক্ষিত। সকলের ঘরে সবাই শিক্ষিত এবং খুব সুন্দর জীবনযাপন করতেছে। তাই তারাও উদ্যোগ নিলো সুখীভাব বিরাজ করবে তাদের মধ্যে। প্রতি ঘর থেকে একজন করে মিলিত হয়ে একটা সংগঠন স্থাপন করে। সংগঠনের নাম রাখা হয়
সুখী ভাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়া :
দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ পরিশ্রম করে এখন তারা নিজেদের মধ্যে সুখের অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে। কারণ তাদের সমাজে সেরকম শিক্ষিত মানুষ ছিলনা। তাই সকলে মিলিত হয়ে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটু বেশি সময় লেগেছে। এখানে মিলেমিশে সকলে বসবাস করে। সমস্যা গুলো সকলে এ সাথে সমাধান করে। সমাজের অধিকাংশ লোক এখন শিক্ষিত। সমাজের জন্য এখন কয়েকটা ধাপ তারা নিজেদের মতো করে তৈরি করেছে। পড়াশোনার কার্যক্রম চালু করেছে। এখন উটকোপুর গ্রামের মানুষের মতো তারা ও সুখী। প্রত্যেক টা ঘরের দম্পতি ও এখন সুখী। তারা চিরকাল এ সুখের সংসার সাজিয়ে গুছিয়ে কাটিয়ে নিতে চায়। দু'জন দু'জনের হাতা শক্ত করে ধরে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে চায়। এ সুখের পূরণের জন্য তাদের গ্রামকেন্দ্রিক একটা উৎসব ও পালন করা হয়। সেখানে বলা হয় সৃষ্টিকর্তা এ দুনিয়ায় জোড়া মিলিয়ে পাঠান। শুধু কারো পরিপেক্ষে মিলিয়ে দেন। আর ভালোবাসাকে সম্মান জানিয়ে তোমরা সময়ের গতি ধরে এগিয়ে যাও। সুন্দর থেকে সুন্দর হোক সকলের জীবন।
তখন থেকেই সোমালিয়া সিনহা গ্রামের মানুষরা সুখী ও প্রত্যেকটা দম্পতি স্বাচ্ছন্দ্য জীবন কাটায়।
অসুস্থতা :
তাহরুবা ও মাহরিফের সংসার জীবনের আজ আট বছর তিন মাস ছাব্বিশ দিন। তাদের দুজন সন্তান। দু'জনই ছেলে। তাদের নাম রুহনাব ও রুহসান। দুজনে এখন পড়াশোনা করে। একজন দ্বিতীয় শ্রেণিতে আরেকজন শিশুতে। মাহরিফ একটা এনজিওতে চাকরি করেন। এই তো গত পঁচিশ দিন আগে অফিস থেকে আসার সময় মোটরসাইকেলের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষে তার ডান পায়ের দু'টো আঙ্গুল সাথে সাথে কেটে যায়! এবং শরীরে অনেক জায়গা ব্যাথা পায়। তখন তাড়াতাড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের নার্সরা ঠিকানা জেনে তাহরুবা কে জরুরি বিভাগে আসতে বলে। তাহরুবা রুহনাব ও রুহসান কে নিয়ে তড়িঘড়ি করে চলে আসলো। এসে দেখে মাহরিফ কে ভর্তি করা হয়েছে। পায়ে বেন্ডেজ করানো। শুয়ে শুয়ে ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে!
ডাক্তার জানিয়েছেন সমস্যা বেশি হওয়ার কারণে এক সপ্তাহের মতো হাসপাতালে থাকতে হবে। এতে করে অনেক টা তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারবে। আর সঠিক মতো ইনজেকশন, ঔষধ খেতে পারবে। তখন তাহরুবা ওখানেই থাকার ব্যবস্থা করলো। বাচ্চাদের কোন রকম করে বিছানায় শুয়ে রাত পার করে। তাহরুবা সারারাত বসে থাকে চেয়ারে। হাসপাতালে ঘুমাবে কী করে। রোগীর বিছানায় এদিক ওদিক করে ওদের তিনজন কে জায়গা দেয়। আজ ষষ্ঠ দিন হাসপাতালে। তাহরুবা এ কয়দিনে অনেক কিছু শিখেছে হাসপাতাল থেকে। কারণ সুস্থতা যে আল্লাহর কতা নেয়ামত সেটা হাসপাতাল থাকলে বুঝা যায়। এখানে রোগের যন্ত্রণায় কতো মানুষ ছটফট করতেছে। কারো হার্টে সমস্যা, কারো মাথা ফেটে গেছে, কারো হাত ভাঙ্গা, কেউ ব্লাড নিচ্ছে,কারো স্যালাইন গাথা সর্বক্ষণ,কারো যন্ত্রণা এত তীব্র থাকে যে ব্যাথা উঠলেই ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়, কারো আছে রিপোর্টে কিছু নেই কোন রোগব্যাধী ধরা পড়েনা তবুও অসর্য্য যন্ত্রণা। একের পর এক অসুস্থ রোগী আসতেছে তখন তাহরুবা আলহামদুলিল্লাহ বলে মহান রব্বুল আলামিনের নিকট শুকরিয়া জানান। যেন সব সময় সুস্থ রাখেন সে প্রার্থনা করেন।
মাহরিফ দেখে তাহরুবা বসে বসে কী যেন ভাবতেছে। জিজ্ঞেস করে তুমি আনমনে কী ভাব? আমি তোমাকে অনেক ক্ষন থেকে খেয়াল করতেছি তখন সে সবটা বুজিয়ে বললো। তখন মাহরিফ বলে, "তোমার মতো সবার জীবনে এমন কেউ থাকুক যে সব সময় খেয়াল রাখবে আর বলবে চিন্তা করোনা সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি তোমার পাশে আছি"।
তাহরুবা বলে হ্যাঁ তোমার সাথে যেন এভাবেই কাটাতে পারি বাকিটা পথ। শক্ত করে হাতা ধরে রেখো।
এরই মধ্যে স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ফাইল আসল। ফাইলে লেখা ছিল আজ সিট কেটে দিবে। সাতদিন হয়ে গেছে। দুপুরে সাড়ে তিনটায় ডাক্তার আসবে। দেখিয়ে যে প্রেসক্রিপশন লিখে দিবেন সে অনুযায়ী চল্লে ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। কারণ মাহরিফ সাহেব এখন আল্লাহর রহমতে অনেক টা সুস্থ।
বৃদ্ধ বয়সের চিত্ররূপ :
ছেলে সন্তানদের খুব সুন্দর করে ভালো শিক্ষা দিয়ে কীভাবে চলতে হয় বলেছিলাম। নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস রেখে প্রতিা পদক্ষেপ নিতে শিখিয়েছিলাম। উচ্চ শিক্ষিত ও করিয়েছিলাম। বাসায় আলমারি জুড়ে ডয়ের ভর্তি অনেক সার্টিফিকেট ও আছে। এতো সুশিক্ষিত সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে আজ আমি কি পেলাম। তাদের জন্য অনেক সম্পত্তির জমা করেছি। ব্যাংককে ও রয়েছে অনেক অর্থ জমা। আর আমায় এখন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর চিন্তা সারাক্ষণ তাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। এই তো গত বছরের বৈশাখ মাসে ঋতু পরিবর্তন এসে আমার জ্বর হয়েছিলো। আমার ছেলে সন্তানরা কী যে অবহেলিত করেছিল বলে বুঝাতে পারবো না। আমাকে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। সেখানে দুইদিন থেকেছিলাম। আমি শুধু হাসপাতালের নার্সদের ছাড়া আমার আত্মীয় দের দেখিনি। যায়নি আমার নিজের সন্তানরাও। ওখানে আমার মত বহু মানুষ দেখেছি। তাদের ও কেউ আসেনি দেখতে। প্রথম দিন রাতে একজন মানুষ মারা গিয়েছিল! হাসপাতাল কমিটিরা বাসায় ফোন করে জানায়। তবুও তাকে কেউ নিতে আসেনি। আর বলা হয়েছে মরে যখন গিয়েছে বাড়ি এনে আর কি লাভ। তখন তাকে মর্গে পাঠানো হয়। এসব নিজ কানে শুনে ও চোখে দেখে আমি পুরো রাতা অঝোরে কেঁদে কাটিয়েছি। কারণ কতো আল্লাদ করে আদর স্নেহ করে সন্তানদের লালনপালন করি আর তারা যদি এমন কথা বলে তাহলে আর এ জীবন থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। এ আত্মচিৎকার কাকে দেখাবো কীভাবে বুঝাবো ব্যাকুল মনের আকুলতার সূর। এ দীর্ঘশ্বাসের ভার কার কাছে পৌঁছব কে শুনবে ব্যথিত মনের দুটো কথা।
‘এখন মনে হয় কোন রাস্তা নেই দোয়া ছাড়া,কেউ শোনার মতো নেই একমাএ আল্লাহ ছাড়া’
স্বস্তি থেকে অস্বস্তির জীবন :
আমার নিজ কাব্যিক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলতেছি, কেন ভালোবাসি কেন কষ্ট পাই। তুমি ও যেমন জানো আমিও তাই। তবুও ভালোবাসি তবুও ভিজে এ আঁখি। এভাবেই বেঁচে আছি এভাবেই আমার মধ্যে বিরাজ করে বহুমাত্রিক শোকের প্রতীক।
আমি এ জীবন নিয়ে এখন নতুন করে কী সাজিয়ে গুছিয়ে লিখবো। আমি তো সূচনার সৌন্দর্যটা নিয়ে উপসংহার সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তুমি সেটা এলোমেলো করে দিলে। ভালোবাসে তো বিয়ে করেছিলে কতোটা ভালোবেসেছিলে তুমি জানতেনা। অথচ আজ আমার আমির খোঁজ নিতেও তোমার মনে পড়েনা নাহ। আমি যে লিখতে বসছি এ লেখাগুলো লিখতেছি আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।
একটা সময় ছিলো তখন বলতে তোমাকে ছাড়া আমি অপূর্ণ ছিড়েফেলা ডাইরির কাগজ যার কোন মূল্য নেই। তুমি বলেছিলে আমি
দিব্যি করে বলি, "প্রহর শান্ত, সকাল শান্ত, শান্ত তোমার খোঁপায় বাঁধানো বেলিফুলের মালা,আরো শান্ত তোমার হৃদয় যাহা কোমলতায় ভরা"।
আমাকে একটা নজর দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকতে। আমার কণ্ঠ শুনার জন্য বড্ড পাগলামো করতে আমাকে সব সময় সারপ্রইজিং করতে এক কথায় তোমার প্রতি আমাকে আসক্ত করে নেওয়ার জন্য সকল পদক্ষেপ নিয়ে আমাকে আবেগ প্রবন করে তুলতে।
তুমি খুব মায়াবী মুখের ভঙ্গি নিয়ে বলতে "তোমাকে না দেখিলে আমার দুঃখ বাড়ে। আর তোমার এ হাসিমাখা মুখ দেখিলে আমার সকল অসুখ সাড়ে"।
আমাকে এতো ভালোবাসতে যে অন্য কারো হওয়ার আগে তোমার করে নিলে। পারিবারিক ভাবে মেনেও নিয়েছিলো আমাদের এ সম্পর্ক। সময়ের ব্যবধানে আজ অনেক কিছু ঋতুর মতো পরিবর্তন হয়ে গেছে তোমার। তুমি এখন কেমন জানি হয়ে গেছো। তুমি কী জানো "যারা ঘরের মানুষের কাছে অবহেলিত হয়,তারা পৃথিবীতে আর কোথাও গুরুত্ব পায়না"।
তোমার এ অবহেলায় আমি এখন আঁধার কৃত মানুষ হয়ে যাচ্ছি দিনদিন। একাকিত্বের সাগরে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছি। আমার ভেতর ঘরটা রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি এখন তাকিয়ে তাকিয়ে তোমার আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়াটা দেখতেছি,চোখে জল এসে তোমার হারিয়ে যাওয়াটা ঝাপসা করে দেখাচ্ছে। আমি ইচ্ছে করেই চোখের জল মুছতেছিনা,তাকে ঝড়ে দিতে দিচ্ছি। কারন,এখন আর তুমি আমার কান্না টা দেখোনা। আজ তুমি অনেক বদলে গেছো....এতোটাই বদলে গেছো যে তুমি আমার মন খারাপ হলে আমার দিকে তাকিয়ে বুঝে ফেলতে আর আজ সেই তুমি আমার কষ্ট জড়িত কান্নার আওয়াজ শুনেও শুননা। আমার স্বস্তিতে ভরা পুরো জীবনটাই আজ অস্বস্তিতে পূর্ণ।
তুমি আমার সুখ :
সুখ নামের বিশ্লেষণ রয়েছে অনেক মধুময় কাহিনী। কারণ সুখ একটা মানুষ কে এতোটা স্বস্তি দেয় যেমনটা তার প্রিয় মানুষের কাছে মিলে। এই তো কিছু দিন আগের কথা আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বিয়েতে গিয়েছিলাম। সমাজতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী আমাদের অনেক আপ্যায়ন করা হলো সকল রীতি অনুসরণ করে খুব ভালো সময় কেটেছিল। ওখানে একটা ছেলে দেখলাম আমার পাশে বসছিলো। কিছুক্ষন আমার ভাইয়ার সাথে কথা বলে চলে গেল। আবার সন্ধ্যায় চা খাওয়াতে নিয়ে যাবে বলে আসলো।আমি বাহিরে বসেছিলাম কয়েকটা মেয়ের সাথে।আমায় দেখে বলে কেমন আছেন। উওরটা একটু আশ্চর্য হয়ে দিলাম।বললাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি? উনি কার কাছ থেকে যেন জানতে পেরেছে আমরা আগামীকাল চলে যাব। তিনি যাওয়া সময় বলে আচ্ছা আমি চলে যাচ্ছি আপনারা থাকলে আমি কাল আসবো।আমি অবাকই হয়ে যাচ্ছি বারংবার তার এ আচরণে। কারণ ওনাকে আমি চিনিনাহ হঠাৎ কীভাবে একটা মানুষ এমন কথা বলতে পারে।আমরা পরেরদিন বাড়ি চলে এসেছি।তার দুই পর আমার ভাইয়া আমাকে জিজ্ঞেস করে ঐ যে ছেলেটা! আমি বললাম কোন ছেলেটা? ভাইয়া বলে পাহরিফ। যে তোমার পাশে বসছিলো ও কী তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি?আমি বললাম নাহ।বলে তোমাকে নাকি ওর পছন্দ হয়েছে।
তখন আমি বুজতে পারলাম যে আমরা থাকলে আবার আসবে এ কথাটা কেন উনি বলেছিল।
আমরা মূলত এভাবেই সকলের প্রেমে পড়ে যাই।কিছু কিছু ক্ষেত্রে অচেনা মানুষটা অনেক কাছের হয়ে যায়। তার জন্য মনের গভীর থেকে ভালোবাসা নিজ থেকেই সৃষ্টি হয়ে যায়। আর ভালোবাসাটা এমন একটা জিনিস যেটা বলে হয়না।যেন শত মানুষের ভিড়ে সে মানুষটার ছবিই মনের ক্যানবাছেভাসে। মস্তিষ্কে ঘুরে বেড়ায় সারাক্ষণ। মনটা তখন বলে ওঠে, "তুমি আমার সেই অনুভূতি যেটা কখনো শেষ হবেনা"।
আমি জানি না কখনো ও আমাদের আর দেখা হবে কিনাহ।আমি তার সে লুকাইত ভালোবাসা দেখতে পাবো কিনা। "জীবনে বোধ হয় কিছু জিনিস বা স্বপ্ন অপূর্ণ থাকা দরকার, কারণ সব সপ্ন পূর্ণ হয়ে গেলে বেঁচে থাকার ইচ্ছে টাই হারিয়ে যাবে নিমিষেই"।
তেমনি আমরা তো আমাদের হতে পারিনি তাই এ আক্ষেপ নিয়ে কাটাতে হবে। পার করতে হবে জীবনের বয়ে চলা গতি।
আমি তার সামান্য দুটো কথা শুনে তার মতো করে দু'টো লাইন লিখে রাখলাম এ গল্পে। কি জানি কখনো যদি সে আমার এ গল্প হাতে পায় তাহলে তার জন্য আমার অনুভূতিগুলো সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারবে।
আমাকে আধুনিক বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া ডায়বেটিসের ইনসুলিন নেয়ার মত করে ভালোবাসতে হবেনা।
আমাকে মনে রাখতে হবে না কোনো এক ভয়ংকর রাতে না ভুলতে না পাড়া কোনো ঘটনার মত করে। আমার যত্ন নিতে হবে না, রোজ সকাল বিকেল ছাদে কিংবা বেলকুনিতে রাখা ফুলের টবে পানি দেয়ার মত করে।
আমাকে ডায়েরীর পাতায় পুষে রেখো শুকনো পাপড়ির মতো করে।
কুয়াশায় চাদর পড়ে খুব ভোরে একটু হেঁটো আমার সাথে শিশির বিন্দু স্পর্শ করবো বলে। আমাকে ভালোবাসতে হবে না, আমি চাই একটু সময় করে আমাকে কেউ শুনুক একটু বুঝোক তাহলেই চলবে। আর তুমি হলে আমার পুরো বইয়ের শেষের লাইন।যেখানে মিশে আছে সুখের ঘোর যার গভীরে আমি রোজ হারাতে চাই।