প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৪০
আওয়ামী লীগ পলাতক পার্টি ---ইঞ্জি. মমিনুল হক
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের কাছে প্রথম সারেন্ডার করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। ৫ আগস্ট হাসিনা দুপুরের খাবার না খেয়ে এক কাপড়ে পালিয়ে গেছেন। বার বার দলটির শীর্ষ নেতারা পালিয়ে যায়। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় আওয়ামী লীগ পলাতক পার্টি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হক।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এখন লজ্জায় আর কথা বলতে পারে না। তাদের নেতা বার বার পালিয়ে যায়। আমাদের পাশের একটি দেশের ষড়যন্ত্রে ১৯৮১ সালে আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান হত্যার শিকার হন। শেখ হাসিনা দেশে আসার ১৫ দিনের মাথায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর ছাত্ররা ভুল করতেছে, আমরা তাদেরকে ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি। এবারেরটা বিপ্লব আমি বলতে চাই না। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতাকে আমরা স্বাগতম জানাই। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি সতর্ক করে বলেন, আমাদের মাধ্যমে কেউ যেনো কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়।হাজীগঞ্জের বাকিলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাকিলা বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভাস্থলে এসে মিলিত হয়।
ইঞ্জি. মমিনুল হক আরো বলেন, গত ১৭ বছর মানুষের বাক স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সকল অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। হাজার হাজার মামলা দিয়ে আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী ও সমর্থককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নেতা-কর্মীদের শারীরিক, মানসিক নির্যাতন এবং গুম- খুনের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এর ফল হিসেবে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্য কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা প্রতিপক্ষ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিষ্পেষিত করা যাবে না। কোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকা যাবে না। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাই, একটি নতুন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। যেখানে কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. এ. রহিম পাটওয়ারী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম. এ. নাফের শাহ্, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আকতার হোসেন দুলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মমিন বেপারী, যুগ্ম সম্পাদক মোবাশ্বের মোল্লা, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ প্রমুখ।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইমাম হোসেন লিটন, পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম ভুট্টু, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডঃ ওমর ফারুক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন মুন্সী, সাবেক প্রচার সম্পাদক মারুফ খান রাসেলসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব কাজী জসিম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন বেলাল, পৌর আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইমান হোসেন, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি রাশেদ আলম হীরা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এসএম ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আবু ইউছুফ, সাবেক সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগর, যুবদল নেতা আলাউদ্দিন তরুণ, কাদের দেওয়ান, আবু বকর তফদারসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
ক্যাপসন