প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৪৩
নিহতের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারী
ওমরা শেষে না ফেরার দেশে মতলব উত্তরের লিটন মিয়া
ওমরাহ পালন শেষে কর্মস্থল সৌদি আরবে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলার প্রবাসী মোঃ লিটন মিয়া (৩০)। বাংলাদেশ সময় শনিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরে নিহত লিটন মিয়ার বাড়িতে বইছে শোকের মাতম। নিহত মোঃ লিটন মিয়া উপজেলার গজরা ইউনিয়নের রাজুরকান্দি গ্রামের চাঁন মিয়া সরকারের একমাত্র পুত্র ।
|আরো খবর
জীবিকার অন্বেষণে ৬ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মোঃ লিটন মিয়া। লিটন মিয়া সৌদি আরব দাম্মাম আল যুবায়েল শহরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি ১ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন।
নিহত লিটন মিয়ার বাবা চাঁন মিয়া সরকার জানান, জায়গা জমি বিক্রি করে ৬ বছর আগে সৌদি আরবে পাঠাই আমার সন্তানকে। এ বছর ঈদের পরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ওমরাহ পালন শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে আমার সন্তানের। গত শনিবার তার এক বন্ধু ফোন করে এ খবর জানিয়েছেন। এ শোকের ভার আমি সইবো কীভাবে। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলো আমার লিটন। নিহত লিটন মিয়ার মা নিলুফা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, গত শনিবার ইফতারের আগ মুহূর্তে আমরা লিটনের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। তবে সে কথা আমার বিশ্বাস হয়নি। কিছুদিন আগেও ভিডিও কলে সে বলেছিল ঈদে সবার জন্য কেনাকাটা করতে টাকা পাঠাবে। কিন্তু তার আগেই আল্লাহ তাকে না ফেরার দেশে নিয়ে গেলো। আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
লিটন মিয়ার ছোট ভগ্নিপতি আল-আমীন জানান, সৌদি আরবে আমাদের লোক আছে। নিহত লিটন মিয়ার মরদেহ একটি সরকারি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ বাংলাদেশে আনার চেষ্টা চলছে।
নিহত লিটন মিয়ার মরদেহ দেশে আনার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কথা বলে সৌদি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন গজরা ইউপির চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ প্রধান।