চোর ডাকাত দেখতে কেমন ?

চোর ডাকাত দেখতে কেমন। চোর ডাকাত কি মানুষ থেকে হয়,নাকি ? থানা অভ্যন্তরে এসে উৎসক কয়েক শিশু ওসির কাছে জানতে চায়। সেই শিশুদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করে শিশুদেরকে কাছে টেনে নিলেন, কথা বললেন, আপ্যায়ন করালেন। বিষয়টি হাজীগঞ্জ থানার অফিসার জুবাইর সৈয়দের।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়েক শিশু থানা থানা অভ্যন্তরে ডুকে আসামী রাখার কামরার সামনে ঘুরাফিরা করছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওসি বিষয়টি দেখে এগিয়ে গেলে শিশুরা ওসির কাছে জানতে চান, আমরা চোর আর ডাকাত দেখতে এসেছি। তারা দেখতে কেমন। এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ তার নিজের ফেইজবুকে লম্বা ষ্ট্যাটার্স দেন। ষ্ট্যাটার্টি নিচে তুলে ধরা হলো :

স্বপ্ন যখন মানুষ হওয়ার.........

আজ বিকেল ১৫.৪২ টায় হাজীগঞ্জ থানা চাঁদপুর এ চারজন পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া শিশু এসে থানা হাজতের সামনে উৎসুক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য আমি সিসিটিভিতে দেখে এসব কোমলমতি শিশুদের পানে এগিয়ে আসি।

তাদেরকে থানায় এসে এভাবে কি দেখছে? জিজ্ঞেস করি।

তারা সমস্বরে বললো, "আসামী দেখতে এসেছে"!!!!

আমি তাদের কাছে আসামীর অর্থ জানতে চাইলাম।

তারা বললো," যারা চুরি করে,ডাকাতি করে,মানুষ খুন করে,তারাই আসামী"!!

আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, তারা কি???

শিশুরা বললো,"তারা খারাপ মানুষ"

আমি তাদের নিকট জানতে চাইলাম, "তোমরা বড় হয়ে কি হবে???"

দ্বীপ্ত কন্ঠে বললো,"আমরা ভালো মানুষ হবো"

আমি বললাম বড় হয়ে কি করবে??? তারা বললো মানুষের উপকার করবো"!!!

তারপর জিজ্ঞেস করলাম, আর কি হবে?? তারা সর্বশেষ উত্তর দিলো,ভালো পজিশনে যাবো"!!!!! কথোপকথনের মাঝে এ ও বললো তারা কখনো আসামী হবে না!!!

আমার বিশ্বাস, পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া শিশুদের প্রথম উত্তর যদি হয় ভালো মানুষ হবো,তাহলে আসলেই তারা কখনো আসামী হবে না!!!

ভাবতে ভালোই লাগলো তাদের কথা বলার ধরণ,চিন্তার ধরণ,মনোভাবের ধরণ দেখে।

আমরা আশা করতেই পারি, অনুর্ধ্ব দশ বছর বয়সী শিশুদের চিন্তা যদি এমন হয়, নিঃসন্দেহে সুন্দর হবে আগামীর বাংলাদেশ।