অফিস করেন না খাদ্য পরিদর্শক, বেতন ভাতা নেন নিয়মিত

ঢাকায় বসবাস করলেও কর্মস্থল তার হাজীগঞ্জে। মাসে একদিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই সারা মাসের হাজিরা নিশ্চিত করেন তিনি। নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থেকেও মাসের পর মাস সরকারি বেতন-ভাতা তোলার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে।

অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর দুই মেয়াদে পাঁচ মাস চট্টগ্রাম বন্দরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এরপর থেকে হাজীগঞ্জে তার নিয়মিত উপস্থিতি আর দেখা যায়নি।

অভিযোগ রয়েছে, মাসে একবার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে পুরো মাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। জানা যায় , উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলি খাদ্য পরিদর্শকের অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ খোরশেদ আলম নিজেকে অসুস্থ দাবি করেন। তিনি বলেন, মাসে একবার আসি কথাটা সত্য নয়। আমি সাপ্তাহে দু-একদিন আসি। তবে সোমবার তাকে অফিস করতে দেখা গেছে। চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে তিনি যখন কথা বলেন, সে সময় তিনি দাবি করেন যে, মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সিরিয়াস না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, খাদ্য পরিদর্শক নিয়মিত অফিসে না এলেও অফিসের কাজ চালু আছে। তাই বিষয়টিকে অতোটা সিরিয়াসলি না নিলেও হবে।

অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, হাজীগঞ্জে একজন খাদ্য পরিদর্শক আছেন—এ তথ্যই আমার জানা ছিলো না। যোগদানের পর একদিনও তাকে দেখিনি। অফিস না করে নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন—এ বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাবো এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।