প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ছাড়া ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে না। এজন্যে শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে এনআইডির বাধ্যবাধকতা তুলে শুধু জন্মসনদের নম্বর দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে তাদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারপরও জটিলতা কাটছে না।
দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। যদিও স্কুলে ভর্তির সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। আবার ২০০১ সালের পর জন্ম নেয়া নাগরিকদের জন্ম নিবন্ধনে সফ্টওয়্যারে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হলেও দেখা যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীর বাবা-মায়েরও জন্ম নিবন্ধনও নেই। এ অবস্থায় বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়াই শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের দেয়া সনদের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের দ্রুততম সময়ে জন্ম নিবন্ধন করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে তাদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে বিষয়টি জানিয়ে সব জেলা-উপজেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
গত বুধবার ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ ওসমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১২-১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের করোনার ভ্যাকসিন দিতে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন কাজ শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও এখনো অনেক শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। অথচ সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন দিতে জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের পর জন্ম নেয়া শিশুর জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিডিআরআইএস সফ্টওয়্যারে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেয়ার বিধান আছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ১২-১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন দিতে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ১২-১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন দিতে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করার জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের দেয়া সনদের ভিত্তিতে প্রয়োজনে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই ন্যূনতম সময়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। তবে পরবর্তীতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।