প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরাণবাজারের সর্বত্র লকডাউন কার্যকর দেখা গেছে। গত ৩ দিনের সীমিত লকডাউনসহ আগেকার লকডাউনগুলো পুরাণবাজারে তেমনভাবে কার্যকর না হলেও গতকালকের কঠোর লকডাউন পালনে ব্যবসায়ীদের আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিলো না বলেই মনে হয়েছে। তবে মূল বাণিজ্যকেন্দ্রের বাতাসাপট্টি, ডালপট্টি, মিয়াপট্টি, তামাকপট্টির গুটি কয়েক পাইকারি মুদি দোকান খোলা থাকলেও যোগীপট্টি, ফলপট্টি, ট্রাংকপট্টি আড়তপট্টি, মসজিদপট্টির সুতা, জুতা, কসমেটিকস্, জামা কাপড়সহ বিভিন্ন সামগ্রীর দোকানপাট ছিলো বন্ধ। চাঁদপুর চেম্বার ভবনও ছিলো তালাবদ্ধ। লোহারপুল চত্বরেও দেখা গেছে একই চিত্র। ২/১টি ঠেলা গাড়ি আর রিকশা ছাড়া মোটরচালিত যানবাহন তেমনভাবে চোখে পড়েনি। তবে এজন্যে পুলিশের সতর্ক দৃষ্টি ছিলো সর্বত্র। লকডাউন কার্যকরে পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যগণ সকাল থেকেই বাজার এলাকাসহ পুরাণবাজার লোহারপুল এলাকায় সতর্কতার সাথে অবস্থান নেন। তারা নতুনবাজারসহ দক্ষিণ পালপাড়া, জাফরাবাদ, বহরিয়া, দোকানঘর, পুরাণবাজার এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ধরে আসা সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন লোহারপুল চত্বরে আটকে দেন। তাদের কঠোর মনোভাব বুঝতে পেরে এ সকল যানবাহনের চালকগণ তড়িঘড়ি তাদের যানবাহন নিয়ে অনত্র সরে পড়েন। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকাল কঠোর লকডাউনের প্রথমদিন চলাচলরত যানবাহনের সংখ্যা ছিলো অনেক কম। ছিলো না সাধারণ মানুষের তেমন উপস্থিতি।
পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমরা সীমিত আকারে লকডাউন চলাকালীন সময় থেকেই সিএনজি অটোরিকশা চলাচলে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করি। এ সময় আমরা যানবাহন আটকসহ লকডাউন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করি। যাতে তারা লকডাউন চলাকালীন যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের না হয়। কিন্তু অনেকেই সেই কথা শুনতে রাজী না থাকায় আমাদেরকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কঠোর হতে হয়েছে। সকলেরই বোঝা উচিত এই লকডাউন আমাদের সকলের স্বার্থেই দেয়া হয়েছে। তাই তা বাস্তবায়ন করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গতকাল ১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন। এর আগে গত ২৮ জুন সোমবার থেকে শুরু হয় সীমিত আকারের লকডাউন।