বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় ওসির অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
  •   ভারত-মিয়ানমার থেকে ৮৯৮ কোটি টাকার চাল কিনবে সরকার
  •   মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ ও কীটনাশক পাওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
  •   মশার উপদ্রবে চাঁদপুর পৌরবাসী ॥ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
  •   শাহরাস্তিতে সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও চালকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২১, ০০:০০

হাজীগঞ্জে বৃষ্টিস্নাত লকডাউনে প্রশাসন হার্ডলাইনে
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

হাজীগঞ্জে বৃষ্টিস্নাত দিনে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন ছিলো হার্ডলাইনে। ১ জুলাই ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া লকডাউন সারাদেশের ন্যায় হাজীগঞ্জেও চলছে। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা দিতে হয়েছে কয়েকজনকে। লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে প্রশাসনসহ পুলিশ ছিলো উপজেলার সড়ক আর আঞ্চলিক মহাসড়কে।

সরজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে হাজীগঞ্জের প্রধান সড়ক তথা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কসহ সকল পার্শ্ব সড়কে যাত্রী পরিবহনের সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। খাদ্যের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, রোগী বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কের দু পাশের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো বন্ধ। বন্ধ ছিলো বড় বড় মার্কেটসহ সকল গলির ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হাজীগঞ্জ বাজারে প্রবেশপথের সবগুলো সড়কে পুলিশের পাহারা থাকায় বাজারে মানুষজনের উপস্থিতি ছিলো যৎসামান্য। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টি থাকায় কঠোর লকডাউন আরো কঠোরে পরিণত হয়।

এদিন সকাল থেকে হাজীগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার। এছাড়াও ভোর থেকে ভিন্নভাবে ফোর্স নিয়ে অব্যাহত টহলে ছিলেন হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ পিপিএম, থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ ও ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল। দুপুরের দিকে হাজীগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। একইদিন সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারে ফলের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল হোসেন।

অপরদিকে দিকে দিনভর হাজীগঞ্জের প্রধান বাজার, বাকিলা বাজার, রাজারগাঁও বাজার, বলাখাল বাজার, চেঙ্গাতলী বাজার , বেলচোঁ বাজার, সেন্দ্রা বাজার, রামপুর বাজার ও কাশিমপুর বাজারের খাবার হোটেলগুলোর কিছু খোলা রাখতে দেখা গেছে। তবে এসব হোটেল ব্যবসায়ী পুলিশ দেখলে ক্রেতাকে সরিয়ে দিয়ে মালিকপক্ষ ক্যাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ চলে গেলে পূর্বের রূপে ফিরে গেছে হোটেলগুলো।

ঠিক হোটেলের মতো সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলোর একই চিত্র দেখা গেছে। উপজেলার অভ্যন্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলো থেকে কম-বেশি সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করেছে। তবে পুলিশ দেখলে চালকদের অবস্থা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতো অবস্থা। এদিন দুপুরে বাকিলা বাজারের অটোরিকশা স্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়