বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় ওসির অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
  •   ভারত-মিয়ানমার থেকে ৮৯৮ কোটি টাকার চাল কিনবে সরকার
  •   মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ ও কীটনাশক পাওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
  •   মশার উপদ্রবে চাঁদপুর পৌরবাসী ॥ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
  •   শাহরাস্তিতে সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও চালকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জের দেইচর মডেল একাডেমীতে সমস্যার অন্ত নেই ॥ প্রয়োজন ব্যাপক উন্নয়ন

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
ফরিদগঞ্জের দেইচর মডেল একাডেমীতে সমস্যার অন্ত নেই ॥ প্রয়োজন ব্যাপক উন্নয়ন

২০১৯ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় যে ক’টি বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হয়েছিলো তার মধ্যে অন্যতম বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের দেইচর মডেল একাডেমী। ধারাবাহিক ভালো ফলাফলের পুরস্কারস্বরূপ ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভুক্তির ফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আশার আলো দেখলেও সেই আলো এখনো চোখে পড়েনি। গত এক দশকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে এই বিদ্যানিকেতনটি। একতলা ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ায় ক্রমশই ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের একাধিক কক্ষ। টিনের চালও জরাজীর্ণ। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্যে আবেদন করা হলেও করোনাসহ নানা কারণে থমকে রয়েছে প্রক্রিয়া। সরেজমিন উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের দেইচর মডেল একাডেমীতে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের দেইচর গ্রামে চান্দ্রা বাজার-বালিথুবা বাজার সড়কের পাশে ২০০০ সালে দেইচর মডেল একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে ১ম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। অথচ পুরো বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণতায় পূর্ণ। বিদ্যালয়ের একতলা ভবনের বেশ কয়েকটি কক্ষের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে মেঝে পানিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। কক্ষগুলোর দরজা-জানালাগুলোও ভাঙ্গা। টিনের চালগুলোতে মরিচা পড়ে বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র হয়ে গেছে। পুরো মাঠটি পানিতে ভরপুর।

স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়টি শিক্ষার ক্ষেত্রে আশেপাশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো ফলাফল অর্জন করলেও সরকারের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। নতুন ভবনতো দূরের কথা সরকারি কোনো বরাদ্দই জুটেনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, সর্বশেষ ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের পাসের হার শতভাগ হওয়ার সাথে সাথে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন শিক্ষার্থী। অন্যরা এ এবং এ মাইনাস পেয়েছে। এছাড়া গত কয়েক বছর ধরে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলও অনেক ভালো। শুরু থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ধরে রাখার জন্যে শিক্ষকরা স্বল্প বেতনেও কঠোর পরিশ্রম করে চলছেন। করোনাকালে প্রতিটি শিক্ষার্থীর খোঁজখবর রাখছেন। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়। তবে ১৬ জন শিক্ষকের মধ্যে এমপিওভুক্ত হন শিক্ষক মাত্র তিনজন। এসব নিয়েই বিদ্যালয়টি চলছে। পুরাতন ভবনগুলো মেরামত এবং নতুন ভবন না পেলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিদ্যালয়টি পাঠদানে অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে পারে।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ড. এবিএম শাহজালাল জানান, বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবনের জন্যে তিনি চেষ্টা করে চলছেন। এজন্যে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়