কচুয়ায় ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইমান হোসেন নূর

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বিএনপি ও অন্যান্য সমমনা দলের হাইকমান্ড দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে তৃণমূলে যাচাই-বাছাই শুরু করেছে দলের নীতি নির্ধারকরা। ৩০০ আসনে তিনজন করে সম্ভাব্য প্রার্থী নির্ধারণ করে রাখছে দলটি। যেনো মামলা ও গ্রেফতারজনিত কারণে প্রার্থী সংকটে পড়তে না হয়।

কচুয়া আসনে বিএনপির ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা হলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহসানুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ও ঢাকা মহানগর বনানী থানার বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইমান হোসেন নূর। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে তিনজনই হাইকমান্ডের সাথে লবিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা নতুন ধারায় রাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে চান তৃণমূল বিএপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মহানগর বিএনপির নেতা ইমান হোসেন নূর। কচুয়া উপজেলাবাসীর কাছে তিনি নতুন মুখ হলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির রাজনীতিতে তিনি শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। পাশাপাশি বিএনপির হাইকমান্ডের নেতৃবৃন্দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন। বর্তমানে তিনি মহানগর বনানী থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক। আওয়ামী শাসনামলে ৫৪টি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ৪টি মামলায় ১২ বছর ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত হন। তিনি কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের মরহুম ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলামের সুযোগ্য সন্তান।

পেশাগত ও ব্যবসায়িক জীবন ছাড়াও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি তেজগাঁও থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক, বনানীর বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি, মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক, ঢাকাস্থ কচুয়া নাগরিক সমবায় সমিতি ও বৃহত্তর কুমিল্লা সমবায় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রচারণার অংশ হিসেবে তাঁকে এলাকায় গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। গণসংযোগের সময় তিনি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করছেন।

একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমান হোসেন নূর বলেন, এই কচুয়ার আসনটি বিএনপির আসন। আমার হাত ধরেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চাই। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সকল অন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকে দলীয় কর্যাক্রমে অংশগ্রহণ করেছি। দেশের দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক দুর্দশা লাঘবে পরিবর্তনশীল নতুন চেতনায়, নতুন চিন্তায় দেশের যুবসমাজে নতুন রাজনৈতিক ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আমি কচুয়া আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির ধানের শীষের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলাম। মনোনয়ন পেলে এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো, ইনশাআল্লাহ।