বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বিভিন্ন স্থানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিভিন্ন স্থানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

বাংলাদেশসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বে সোমবার, ১২ রবিউল আউয়াল ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মানব জাতির রহমত স্বরূপ প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোলে জন্ম নেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ঠিক একই তারিখে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি।

এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো। সমগ্র আরবে বিরাজ করতো নানারূপ ধর্মীয় অনাচার, কুসংস্কার ও পাপাচার । ইসলামের ধারণায় এ সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ। ‘আইয়াম’ শব্দের অর্থ সময় বা যুগ ও ‘জাহেলিয়া' শব্দের অর্থ অজ্ঞতা বা তমসা। সুতরাং আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে ‘তমসা' বা ‘অজ্ঞতার যুগ' বুঝায়। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তি ও তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)কে পৃথিবীতে শেষ নবী ও রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেন। তাঁর জীবনাদর্শ (সুন্নাহ) ইসলামের ভিত্তি।মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মের পূর্বেই তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। তারপর অল্প বয়সে তিনি তাঁর মাকে হারানোর পর প্রথমে তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব ও পরে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন।

মহানবী (সা.) অল্প বয়সে হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খাদিজা (রা.) নামের এক ধনাঢ্য নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়্যত প্রাপ্ত হন ও আল্লাহতাআলার নৈকট্য লাভ করেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালনের জন্যে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এবং মসজিদ কমিটি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিলো মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

চাঁদপুরে দিনটি ঘিরে ছিলো র‌্যালি, আলোচনা সভা এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং অন্য কিছু প্রতিষ্ঠানেও ঈদে মিলাদুন্নবীর কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা বাজার ইয়াকুব আলী স্মারক উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ইসলামী সংগীত ও কুইজ প্রতিযোগিতা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বালিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।

বাগাদী দরবার শরীফ চাঁদপুর-এর প্রাচীন প্রতিষ্ঠান বাগাদী আহমাদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসায় ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়