প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
একটি পরিবারের নিকট তিন বাড়ি জিম্মি
হাজরা গ্রামে একশটি পরিবার পানিবন্দি
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের হাজরা গ্রামের তিনটি বাড়ির লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, মতিন মিজি বসতঘর নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের জায়গা বন্ধ করে দেন। যার কারণে বৃষ্টির পানি জমে দীর্ঘ ২ মাস যাবত হাজরা গ্রামের তিনটি বাড়ির ১০০ টি পরিবারের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। বাড়ির পুকুর, ডোবা, রান্না ঘর, টয়লেট ও বসতঘরে পানি উঠে গেছে। এতে তাদের দুর্বিষহ অবস্থা বিরাজ করছে । একটা অচলাবস্থার মধ্যে তারা দিন কাটাচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের জায়গা বন্ধ করে দেওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা না হলে আগামী ২ মাসেও পানি নামার সম্ভাবনা নেই।
চলছে বর্ষা মৌসুম। বৃষ্টির পানি জমে বাড়িঘরে আরো বেশি পানি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এতে ছোট শিশু ও বয়োবৃদ্ধদেরকে নিয়ে বেশি হতাশায় ভুগছেন পরিবার গুলো।
পানিবন্দি পরিবার গুলো হচ্ছে : মোঃ খোরশেদ আলম, গণি মিজি, রফিক মিজি, জসিম মিজি, রিয়াদ মিজি, সুমন মিজি, সোহাগ মিজি, হাসান মিজি, আজাদ মিজি, জীবন মিজি, আনুরি বেগম, জেসমিন, রাশিদা, জানু, শরিফ বেপারী, মজিব গাজী, জাবেদ গাজী, স্বপন গাজী, আলমগীর গাজী, মান্না গাজী ও সাকাসহ আরো অনেক পরিবার।
গতকাল রোববার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি বাড়ির মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। রান্নাঘর, টয়লেটও পানিতে ডুবে গেছে। কিছু বসতঘর ডুবুডুবু অবস্থায় রয়েছে।
রাস্তা থেকে এদের বাড়িতে প্রবেশ করতে পানি ডিঙ্গিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। পানি থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বাড়ির লোকজন। তারা পানিবন্দি দশা থেকে রক্ষা পেতে চায়। সাপ ঘরের চারপাশে রয়েছে। এমনকি সাপ ঘরেও প্রবেশ করছে। জমা পানিগুলো বিষাক্ত হয়ে গেছে। পানিতে নামলে চুলকানিসহ শরীর ফুলে গিয়ে গোটা হয়ে যায়।
পানিবন্দি পরিবারগুলো বলে, মতিন মিজি প্রভাব বিস্তার করে আমাদের বাড়ির পানি নামার জায়গাটুকু বন্ধ করে বসতঘর নির্মাণ করে। যার কারণে পানি নামতে না পেরে জলাবদ্ধতা হয়ে গেছে। এভাবে আমরা ক'দিন চলবো? আমাদের বাড়ি থেকে পানি নামার ব্যবস্থা করা হলে আমরা পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পেতাম। আমরা সেনাবাহিনী, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের
দৃষ্টি কামনা করছি।