শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদকের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে আজ তদন্ত

শামীম হাসান ॥
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদকের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে আজ তদন্ত

ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তের জন্যে গঠিত কমিটি আজ অভিযুক্তকে তলবক করেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর স্বাক্ষরিত নোটিশের তথ্য মতে, আজ ১১ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারী মোঃ রেদোয়ান খান গং এবং অভিযুক্ত উপজেলা স্কাউট সম্পাদক জিয়াউর রহমানকে বেলা সাড়ে ১২টায় সময় প্রয়োজনীয় স্বাক্ষ্য প্রমাণাদি নিয়ে তদন্ত কমিটির কাছে উপস্থিত হবেন।

রোভার রেদোয়ান খান চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অর্থ, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা থেকে সম্পাদকের নিজের গ্রহণ করা বিল-ভাউচার এবং শিক্ষার্থীদের বিতরণকৃত টাকার তালিকার বিষয়টি আমরা জানি। শুধুমাত্র দুই ঈদে মোট ৫২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। যার মধ্যে ঈদুল ফিতরে অনুদানের পরিমাণ ছিলো ৪৪ হাজার টাকা। তার বিপরীতে শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৬শ’ টাকা। এখানে আত্মাসাৎ করেছেন ২৫ হাজার ৪শ’ টাকা। ঈদুল আজহার অনুদানের পরিমাণ ছিলো ৪০ হাজার টাকা। শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে ১৫ হাজার ৪শ’ টাকা। বাকি ২৬ হাজার ৬শ’ টাকা আত্মাসাৎ করেছেন তিনি।

এছাড়া ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট ১ হাজার ১শ’ টাকা খরচ দেখিয়ে ভুয়া আচারের বিল তৈরি করেছেন তিনি। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ৬ কার্টুন বিস্কুট কেনার যে ভাউচার তিনি করেছেন তাও ভুয়া। প্রকৃত ঘটনা হলো ২২ ফেব্রুয়ারি বিপি দিবসে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ২ কার্টুন বিস্কুট দেয়া হয়েছে। সামান্য বিস্কুট কেনাতেও তিনি অর্থ লুটপাট করেছেন।

আরও কয়েকজন স্কাউট ও রোভার সদস্য বলেন, সত্যিই যদি জিয়া স্যার স্কাউটের টাকা লুট করে থাকেন তবে তার হাতে কোনভাবেই উপজেলা স্কাউট সুরক্ষিত নয়। আমরা অনিয়ম দুর্নীতি করা কাউকে উপজেলা স্কাউটের নেতৃত্বে দেখতে চাই না। উপজেলা স্কাউট সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তাকে সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। তার বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় আমরা সকল স্কাউট ও রোভার সদস্যরা একযোগে স্কাউটিংয়ের সকল কর্মকাণ্ড বর্জন করবো। দুর্নীতিবাজ যেই হোক আমরা তাকে স্কাউটের কোনো দায়িত্বে দেখতে চাই না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়