প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
মতলব দক্ষিণের ঐতিহ্যবাহী মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজের পরে পূর্বের কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার ঘোষণা দেন ভূমিদাতা সদস্য মোঃ চুন্নু প্রধানিয়া। তিনি বলেন, মসজিদ কমিটির সভাপতির সাথে তার কথা হয়েছে এবং কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার কথা বলেছেন বলে জানান মসজিদের মুসল্লিদেরকে। এই মর্মে কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর ২৫ আগস্ট আসর নামাজের পর এডহক কমিটি গঠনকল্পে মসজিদের ২য় তলায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কামরুল হাসান (জলিল মাস্টার)কে আহ্বায়ক করে এডহক কমিটি গঠন করা হয় বলে জানা যায়।
এদিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রধানিয়া এই প্রতিনিধিকে জানান, নিয়ম বহির্ভূতভাবে মসজিদ কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। তিনি আরো জানান, আমাদের এ কমিটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এডহক কমিটির মাধ্যমে গঠন করা হয়েছে। আমাদের কমিটির মধ্যে কোনো সদস্য যদি অনিয়ম করে থাকে তার প্রমাণ দিতে পারলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিচার করা হবে। তারা বিচার চাইতে পারে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পুরো কমিটি ভেঙ্গে দিতে হবে। শুনেছি তারা নাকি আমাদের কমিটিকে ভেঙ্গে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এডহক কমিটিও গঠন করেছে, যা সঠিক নয়।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান হাজরা বলেন, কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এলে অভিযোগকারী ব্যক্তির কাছ থেকে লিখিত জবাব চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা দিতে পারেননি বরং মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা প্রকার মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে মুসল্লিদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে মুন্সিরহাট বাজারের মুসল্লি ও পূর্বের এডহক কমিটির সদস্য মোঃ আবদুস শুক্কুর মাস্টার জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে এখনও পূর্বের কমিটি বহাল আছে। যে কেউ ইচ্ছে করলেই এভাবে কমিটি ভেঙ্গে ফেলার ঘোষণা দিতে পারে না। এটা সম্পূর্ণই নিয়ম বহির্ভূত। এ ব্যাপারে কথা হয় মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগকারী মোঃ বিল্লাল হোসেন মিজির সাথে। তিনি জানান, আমাকে মসজিদ কমিটির পক্ষ অভিযোগের জবাব দিতে বলেছে। আমি জবাব দিতে প্রস্তুত আছি।
কথা হয় এডহক কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান জলিল মাস্টারের সাথে। তিনি জানান, আমাকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি অ্যাডহক কমিটির গঠনের লক্ষ্যে খসড়া করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার মসজিদে মুসল্লিদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্যদিকে জানা যায়, যাদেরকে নিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন অ্যাডহক কমিটিতে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন এই প্রতিনিধিকে। বর্তমানে এই অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।