প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
হাইমচর উপজেলাধীন চরভাঙ্গা গ্রামীণ সড়কটি চরভাঙ্গা জয়দল মোল্লা বাড়ি থেকে হাওলাদার বাড়ি (৬নং চরভৈরবী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড নদীর পাড়) পর্যন্ত নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ হয় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ হাতে পাওয়ার পর চরভাঙ্গা জয়দল মোল্লার বাড়ি থেকে প্রায় কিছু কাজ করার পর বাকি কাজ করার আগেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে একটি মহল বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। নিরূপায় হয়ে তারা কাজটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
বন্ধকৃত রাস্তার আশেপাশের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জানা যায়, ৬নং চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০টি পরিবারের যাতায়াত। ওই এলাকার বিজয় মহাজন নামে একজন সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ে দরখাস্ত দেয়ায় এ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এলাকার মানুষ কয়েকবার মানববন্ধন কর্মসূচি করেও এ ২০০ মিটার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। নদী এলাকার চরাঞ্চল থেকে কাঁচামালসহ বিভিন্ন মালামাল এ সড়ক দিয়ে প্রায় ৩০-৪০ বছর ধরে আনা-নেয়া করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, আমরা প্রতিবাদ করার কারণে এলাকার ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন বিজয় মহাজন। তিনি নাকি এলাকার অধিকাংশ মানুষের কাছে পৈত্রিক জমি পাওনা। মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কারণে এই সকল সাধারণ মানুষ বিজয় মহাজনের চাচার কাছ থেকে জমি ক্রয় করে কোনো রকম জীবন-যাপন করছে। নদী ভাংতি মানুষগুলো সব হারিয়ে কোনোরকম একটু ভিটেমাটি কিনে বেঁচে আছে। কিন্তু বিজয় মহাজন নামে এই লোক বিভিন্নভাবে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করছে। সর্বশেষ ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত রাস্তার কাজে ঠিকাদারকে বাধাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে।
৬নং চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণ সরকারের উপরের মহলের কাছে দাবি জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই বিজয় মহাজনের উদ্ভট ও মিথ্যা মামলা থেকে সকলকে মুক্তিসহ ৪০-৫০টি পরিবারের প্রতিদিনের যাতায়াতের রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করা হোক।