ঘাসিপুরে বড়োভাই কর্তৃক ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি প্রতারণা করে রেজিস্ট্রি ॥ ভাতিজাকে প্রাণনাশের হুমকি

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ঘাসিপুর গ্রামে বড়োভাই ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি প্রতারণা করে রেজিস্ট্রি করে নেন। আর ভাতিজাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন।

জানা যায়, বড়োভাই মেজবাহুল মেজু তার ছোট ভাই সাফায়েত উল্লাহ সাফুর পৈত্রিক সম্পত্তি প্রতারণা করে রেজিস্ট্রি করে নিয়ে যান। সাফুর ছেলে ও মেয়েরা বাড়িতে আসলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। সাফুর ছেলে ও মেয়ে তার নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, সাফায়েত উল্লাহ সাফু যখন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন, সে সময় তার বড়োভাই মেজবাহুল মেজু সাফুর পৈত্রিক সম্পত্তি প্রতারণা করে রেজিস্ট্রি করে নেন। সাফুকে চিলের মাংস খাইয়ে পাগল বানিয়ে রাখেন। তার স্ত্রীকে দিয়ে তাকে তালাক দেওয়া হয়। তার দু সন্তান নানার বাড়িতে ছোটকাল থেকে বসবাস করে আসছে। তার নিজের ভাই পৈত্রিক সম্পত্তি প্রতারণা করে আত্মসাৎ করে নেন। সাফু খেয়ে না খেয়ে আলাবোলা হয়ে কোনো রকম চলাফেরা করেন।

এ ব্যাপারে সাফায়েত উল্লাহ সাফুর একমাত্র ছেলে শরীফুল ইসলাম সজীব বলেন, আমার বাবাকে চিলের গোস্ত খাইয়ে পাগল বানিয়ে দেন আমার জেঠা। আমার বাবার সংসার থেকে আমার মাকে তালাক দেওয়ার জন্যে বাধ্য করেন আমার জেঠা। আমার বাবাকে পাগল বানিয়ে বাবার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারণা করে আমার দাদার সকল সম্পত্তি আমার জেঠা নিয়ে যান। আমরা ভাই-বোন ২ জন আমাদের নানার বাড়িতে ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি। আমার জেঠার কাছে সম্পত্তির কথা বললে আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন। আমাদের ৩৩ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি আমার জেঠা তার নামে নিয়ে যান। আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে জেঠাকে বললে কোনো কথা শুনেন না। আমি যেন কোনো দিন বাড়িতে না আসি বলে দেন। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

পশ্চিম সকদী ও ঘাসিপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাকির কাজী, আইয়ুব কাজী, রুবেল মিজি, এনায়েত গাজী, বিল্লাল পাটয়ারী ও বারেক মিজি বলেন, সাফায়েত উল্লাহ সাফু ভারসাম্যহীন থাকাবস্থায় তার সকল সম্পত্তি বড়োভাই মেজবাহুল মেজু জাল করে রেজিস্ট্রি করে নিয়ে যান। তার দুই সন্তান রয়েছে। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রশাসন সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে মেজবাহুল মেজু বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই।