প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
কচুয়ার রহিমানগর বাজার ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে খুবই প্রসিদ্ধি। প্রসিদ্ধি হিসেবে বাজারটির তেমন কোনো উন্নয়ন তো হয়ই নি বরং বিরাজমান নানা সমস্যা দূর করারও উদ্যোগ তেমন একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ বাজারে বিরাজ করছে নানাবিধ সমস্যা। বাজারের ড্রেনগুলো প্রয়োজনের তুলনায় সরু। এগুলো পরিষ্কার করার কয়েক মাস অতিবাহিত হতে না হতেই ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলেই বাজারের গলিপথ পানিতে ডুবে যায়। কর্দমাক্ত অবস্থা সৃষ্টি হয়।
বাজারের পশ্চিম অংশে পশ্চিম বাজারের মসজিদ হতে উত্তর দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ মিটার রাস্তা ও আলিফ মেডিকেল সেন্টার হতে রহিমানগর হাজী চাঁদ মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২শ’ মিটার রাস্তার অংশ খুবই বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই উল্লেখিত রাস্তা ধরে যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা, লোকজনের পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতেও কষ্ট হয়।
বাজারের পূর্ব অংশে রহিমানগর কলেজ গেট হতে বেসিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার পর্যন্ত কচুয়া-কালিয়াপাড়া সড়কের প্রায় ৪শ’ মিটার অংশে সড়কের উভয় পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও উক্ত অংশে বাজার ব্যবসায়ীরা যথেচ্ছভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে থাকে। এতে করে সড়কের উভয় অংশে পানি জমে কর্দমাক্ত অবস্থা হয়ে যায়। দুর্গন্ধময় অবস্থায় পরিবেশ হচ্ছে দূষণ। মশারও যেনো প্রজনন ক্ষেত্র। বাজারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সাপলোলা খাল। বাজার অংশে ১শ’ ফুটের ব্যবধানে ওই খালে রয়েছে দুটি ব্রিজ। বাজার ব্যবসায়ীরা কলার বাকল ও আঁটি, ব্রয়লার হাঁস-মুরগীর বিষ্ঠা ও চামড়া, পঁচা ফল-ফলাদিসহ বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা তাদের খেয়াল-খুশি মতো ব্রিজের নিচে ফেলায় খাল ভরাট হয়ে গেছে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এলাকার কয়েকটি মাঠের ফসল বিনষ্ট হয়।
উত্তর বাজারের সিএনজি অটোরিকশা স্টেশন এলাকাটি চৌরাস্তার মোড় হওয়ার কারণে এ অংশে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ যানজট যেনো রাজধানীর যানজটকেও হার মানায়। এখানে একজন ট্রাফিক নিয়োগের জন্যে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসলেও আজও এ দাবি কার্যকর হয়নি।
বাজারের সমস্যা বিষয়ে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার শাহীন ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম সওদাগর চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, বাজারের বিরাজমান সমস্যা দূরীকরণে শিগ্গিরই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তারা আরো জানান, বাজারের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ দেড় কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছে, যা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।