প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০
হাইমচরে কলেজের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ
রাজনৈতিক চাপে নিরব কলেজ কর্তৃপক্ষ
হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী মালের হাট স্কুল এন্ড কলেজের জায়গা দখল করে রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় সেকান্তর বেপারীর ছেলে বিল্লাল বেপারী। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক চাপের মুখে নিরব ভূমিকায় রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের সম্পদ দখল করে রাতের আঁধারে পাকাভবন নির্মাণ করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় এলাকা জুড়ে রয়েছে সমালোচনা। তবে স্থানীয়দের দাবি, কলেজের জমি দখল মুক্ত করতে প্রয়োজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সামনে দিয়ে টিনের বেড়া দিয়ে ভেতরে ইটের ৪ দেয়াল উঠিয়ে কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দিনের বেলায় যাতে কেউ না দেখে তাই রাতের বেলায় শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়। রাতের আঁধারে কাজ করে ইটের দেয়াল উঠানো হয়ে গেছে। এক প্রকার জোর করেই ভবন নির্মাণ করছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করছে। এলাকাবাসী জানায়, মালের হাট যুব সংঘ স্থানীয় সেকান্তর বেপারীর কাছ থেকে ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে এমজেএস স্কুল এন্ড কলেজের নামে ৬০ শতাংশ দান করেন। কলেজের ৬০ শতাংশ জমির মধ্যের অংশে এ পাকা ভবন নির্মাণ করে জায়গা দখল করছে শাহলম বেপারী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহলম বেপারীর সাথে আলাপ করতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি নন বলে জানান।
এমজেএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সরদার মাহবুব জানান, আমাদের কলেজের জায়গা নিয়ে এমনিতে ২টি মামলা উচ্চ আদালতে রয়েছে। ঐ মামলায় কলেজের পক্ষে রায় হওয়ার পরে আবার আপিল করেছে। এর মধ্যে আবার নতুন করে শাহলম বেপারী জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে যাতে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ না করি তার জন্যে রয়েছে রাজনৈতিক চাপ। বলতে গেলে আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি। আপনারা লেখনির মাধ্যমে কলেজের জায়গা উদ্ধার করতে পারেন। কলেজের হয়ে আপনারা কাজ করুন, যাতে কলেজের জায়গাটুকু দখল মুক্ত হয়।
এমজেএস স্কুল এন্ড কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এসএম আল মামুন সুমন জানান, মালের হাট যুব সংঘ ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে ৬০ শতাংশ জমি আমাদের কলেজকে দান করেছেন। এখন এখানে সরজমিনে জমি আছে ৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৬ শতাংশ জমির ওপর মালের হাট যুব সংঘের অফিস। এখানে যতটুকু জায়গা আছে তা মালের হাট যুব সংঘ ও কলেজের জায়গা। ৩য় পক্ষের কেউ এসে জোর করে ভবন নির্মাণ করবে এটা ঠিক নয়। এটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনী। কলেজটা আমাদের সকলের, এ সম্পদ সকলে মিলে মিশে রক্ষা করতে হবে।