হাইমচরে এসএসসিতে পাসের হার ৮২.৪৬, দাখিলে ৮৩.২৩ ও ভোকেশনালে ৯৪.১২ ॥ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬০

হাইমচরে ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৩৮ জন শিক্ষার্থী কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ৬৯১ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন। পাসের হার ৮২.৪৬%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫২ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।

১০টি মাদ্রাসার ৩২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ২৬৮ জন। পাসের হার হয়েছে ৮৩.২৩%। এ বছর জিপিএ-৫ অর্জন করতে পারেনি কোনো শিক্ষার্থী এবং তবে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করতে পারে নি।

ভোকেশনাল শাখায় ২০৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯২ জন পাস করেছেন, পাসের হার ৯৪.১২%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮ জন।

বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং কৃতকার্য হয়েছে ৮৭ জন। পাসের হার ৭৮. ৩৮%। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬ জন। চরভৈরবী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩৩ জন। পাসের হার ৮৪.৬২%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ জন। চরভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ৬৪ জন। পাসের হার ৯৪.১২%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে ৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৭৭ জন। পাসের হার ৮৭.৫০%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮ জন। ঈশানবালা মালেরহাট যুবসংঘ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৩৭ জন। পাসের হার ৭১.১৫%। গন্ডামারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮৯ জন কৃতকার্য হয়েছেন। পাসের হার ৯৩.৬৮%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ জন। হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩২ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৬৬.৬৭%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ জন। হাইমচর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৩ জন কৃতকার্য হয়েছেন। পাসের হার ৭৬.৭৯%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ জন। কেভিএন উচ্চবিদ্যালয়ে ৭৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেন ৫১ জন। পাসের হার ৬৮%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ জন। এমজেএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ৩৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩১ জন কৃতকার্য হয়েছেন। পাসের হার ৯৩.৯৪%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ জন।

মোয়াজ্জেম হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৩১ জন। পাসের হার ৮৬.১১%। নীলকমল ওচমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২১জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ১১০ জন। পাসের হার ৯০.৯১%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ জন। আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুল থেকে ১৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ৬ জন। পাসের হার ৩৭.৫০%।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফারুক-ই-আজম (রাঃ) আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৯৫.২৪%। গাউছুল আজম এস. দাখিল মাদ্রাসার ৩৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৩০ জন। পাসের হার ৮৩.৩৩%। চরভাঙ্গা ডিএস দাখিল মাদ্রাসায় ২৯ শিক্ষার্থীর ১৭ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৫৮.৬২%।

চরভৈরবী আজিজিয়া আজহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৪৭.৩৭%। জামিলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৯৫.৮৫%। আল-আমিন আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় ৪৩ জনের মধ্যে পাস করেছেন ৩৬ জন, পাসের হার ৮৩.৭২%। গন্ডামারা এবিএস ফাযিল মাদ্রাসার ৫৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৫০ জন। পাসের হার ৯৪.৩৩%। আলগীবাজার আলিম সিনিয়র মাদ্রাসায় ৫০ শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৪ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৮৮%। কাটাখালী হামিদিয়া আলিম মাদরাসার ২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২৭ জন। পাসের হার ৯৩.১০%। কমলাপুর দাখিল মাদরাসার ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনই পাস করেছেন। পাসের হার ৬৮.৪২%।

ভোকেশনাল শাখায় চরভৈরবী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৮ জন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ৮৫ জন। পাসের হার ৯৬.৫৯%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ জন। দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে ২০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭ পাস করেছেন। পাসের হার ৮৫%। কোনো জিপিএ-৫ নেই। এমজেএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৪ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৯৬.৪৩%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ জন। নীলকমল উসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩৬ জন। পাসের হার ৯০%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ জন।