শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর পিবিআইর সাফল্য

মানব পাচার মামলার দুই আসামী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥
মানব পাচার মামলার দুই আসামী গ্রেফতার

কচুয়ার ইব্রাহিম ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগমের দায়ের করা মানব পাচার মামলার আসামী রাকিব হোসেন (২৯) ও মোঃ মিথুন মিয়া (২৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ মোস্তফা কামাল রাশেদ।

এর আগে ২৪ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত দুদিন পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ পরিদশর্ক এম শামীম আহমেদের নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেনসহ একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও মানিকগঞ্জ জেলা থেকে আসামীদের গ্রেফতার করেন।

পিবিআই জানায়, কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের শফিবাদ গ্রামের ইব্রাহিম ফকির ও প্রতিবেশী আঃ হাকিমকে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা লিবিয়া নিয়ে মুক্তিপণের জন্যে অপহরণপূর্বক আটক করে রেখেছে মর্মে রোজিনা বেগম চাঁদপুর মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

পিবিআই মামলাটি তদন্তকালে জানতে পারে, এজাহার নামীয় ১নম্বর আসামী শফিবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও ইতালি প্রবাসী খোরশেদ আলম বাদিনীর স্বামী ভিকটিম ইব্রাহিম ফকির ও প্রতিবেশী আব্দুল হাকিম, ইব্রাহিম মোল্লা ও কবির হোসেনকে অধিক বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ইতালী নেওয়ার কথা বলে অবৈধ পথে লিবিয়া নেয়। সেখানে খোরশেদ আলমের জামাতা গ্রেফতারকৃত ২ নম্বর আসামী রাকিব হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় একটি ভবনের ফ্ল্যাটে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমদেরকে লিবিয়ার অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহরণ পূর্বক অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রাখে। অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা বিবাদীদের মাধ্যমে ভিকটিমদেরকে মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। পরে ভিকটিমদের পরিবার বিবাদীদের দেওয়া ব্যাংক হিসাবে সাড়ে ৫ লাখ টাকা প্রেরণ করে।

ভিকটিম ইব্রাহিম মোল্লা ও কবির হোসেনকে মুক্তি দিলেও ভিকটিম ইব্রাহিম ফকিরকে অবশিষ্ট টাকার জন্যে মুক্তি না দিয়ে আটক করে রাখে। এক পর্যায়ে ইব্রাহিম ফকির গত ১৮ জানুয়ারি অপহরণকারীদের হাতে আটকাবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।

এই ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে কচুয়া থানায় মামলা রুজু হলে মামলাটি পিবিআই গ্রহণপূর্বক তদন্তভার এসআই মোঃ ফারুক হোসেনের ওপর অর্পণ করে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়