শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

বাংলাদেশে ক্যানসার আক্রান্ত রোগী ২২ লাখ

অনলাইন ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী আছে ২২ লাখ।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এভারকেয়ার হাসপাতাল আয়োজিত ক্যানসার সচেতনতামূলক বিশেষ গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানান উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী আছে ২২ লাখ। প্রতি বছর মারা যাচ্ছে দেড় লাখ রোগী। ২০৩০ সালে যখন এসডিজি অর্জন করব, তখন বিশ্বের ৭৭ শতাংশ ক্যানসার রোগী হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ রোগী থাকবে এই অঞ্চলে। সুতরাং আমরা খারাপ অবস্থায় আছি।

খারাপ অবস্থার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অবহেলা করি রোগকে। কিংবা আমাদের রোগ আছে, তবু আমরা এড়িয়ে চলি। এমনকি আমরা ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগীকে চতুর্থ স্টেজে নিয়ে আসি। যাকে আর বাঁচানো যায় না। অথচ আর্লি ডায়গোনোসিস নিজেই করতে পারে। সেটা যদি আমরা শেখাতে পারতাম, তাহলে অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারতাম।

উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিনটি রোগ কিডনি, হার্ট ও ক্যানসারকে প্রাধান্য দিয়ে আট বিভাগে আটটি হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমরা বিভাগ অনুযায়ী রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারব। কিন্তু দুই লাখ রোগীর জন্য আমাদের দুটি রেডিওথেরাপি সেন্টার থাকার কথা, সেদিকে গেলাম না। আমাদের দরকার ৭০টা সেন্টার, আছে ৩৫টা। মানে ৫০ শতাংশ সেন্টার আছে।

আস্থাহীনতার জন্য রোগীরা চিকিৎসার জন্য পাশের দেশে চলে যায় উল্লেখ করেন উপাচার্য। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যা হতো, সেখানে গেলেও একই অবস্থা হয়। কিন্তু ওই দেশে চিকিৎসার পর তাদের আর কোনও অর্থ থাকে না। এ জন্য আমাদের আর্লি ডায়গোনোসিস করা প্রয়োজন। রোগীদের বোঝাতে হবে যে, যেখানেই যাওয়া হোক, চিকিৎসা একই হবে। এতে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমত। আর আমরা যদি বাইরে যাওয়া রোধ করতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যতে দেশের আর্থিক ক্ষতি হবে।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির, বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিয়েশন অনকোলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মোশতাক হোসেন ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়