আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আইয়ুব আলী বেপারী

মেয়াদ শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময় চলে আসায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে আনন্দের পাশাপাশি চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ--কে পেতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন? গুরুত্বপূর্ণ চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্যে দলের অনেকেই আশা পোষণ করছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই শহর ও শহরতলীতে সিনিয়র নেতাদের ছবির সাথে নিজের ছবি দিয়ে ফেস্টুন লাগিয়ে প্রার্থী হওয়ার জানান দিচ্ছেন। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বেশ জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী বেপারী। তিনি বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে নিজ ইউনিয়ন সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন থেকে গণসংযোগ শুরু করেছেন। গত ২১ জানুয়ারি রোববার বিকেলে ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে ব্যাপক গণসংযোগ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের পরীক্ষিত এই নেতার সাংগঠনিক দক্ষতা ও সততার কারণে তৃণমূল থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে রয়েছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা। দলমতের ঊর্ধ্বে সকলের কাছে রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপকতা। ছাত্রজীবন থেকেই যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে আসছেন। নেতৃত্ব দেয়া শুরু চাঁদপুর পৌরসভার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। রাজনীতিতে সাংগঠনিক দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠায় তাকে আর পিছনের দিকে তাকাতে হয়নি।

১৯৯১ সালে থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ২০০০ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হন এবং পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে সেই কমিটি থেকে বিদায় নেন তিনি। ওই বছরেই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কমিটিতে তাকে রাখা হয়। তৃণমূল রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতা আওয়ামী লীগের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে দলের সাথে অংশ নিয়েছেন। এ যাবৎ যতটি নির্বাচনে দল অংশগ্রহণ করেছে সব নির্বাচনে তার মেধা ও শ্রমকে দলের পক্ষে কাজে লাগিয়েছেন। রাজনীতিতে তার দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠা দেখে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ২০১৬ সালে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ দেন।

আইয়ুব আলী বেপারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পারিবারিকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করা পরিবারে আমার জন্ম। সেই ধারাবাহিকতায় ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে আসছি। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু করে আজও এ দলের রাজনীতি করে আসছি। তিনি আরো বলেন, ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বিএনপি, জামাত জোট সরকারের হাতে বহুবার নির্যাতিত হতে হয়েছে আমাকে। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি বহুবার। এছাড়া ’৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক জীবনে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সুখ-দুঃখে সাধ্যমতো সবসময় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সেই চেষ্টা বর্তমানেও অব্যাহত রেখেছি। তাই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশে সবসময় থাকার জন্যে এবং বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আমি একজন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক একটি বিশাল রাজনৈতিক দল, সেই বিশাল দলটির ক্ষুদ্র একজন কর্মী হিসেবে দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিকট অনুরোধ, আমার রাজনীতির সাংগঠনিক দক্ষতা এবং বিগত দিনের সকল কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আমাকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের তৃণমূল পর্যায়ে যে উন্নয়ন তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। এর পাশাপাশি দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করতে আমার সর্বাত্মক চেষ্টা অতীতের ন্যায় অব্যাহত থাকবে এবং দলের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখবো। সর্বোপরি আমার দল যাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা নিয়ে পাঠাবে তার পক্ষে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ।

উল্লেখ্য, আইয়ুব আলী বেপারী শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া সহ বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিয়াজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক তালুকদার, সহ-সভাপতি জহির তালুকদার, আব্দুল মালেক কাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাদির মেম্বার, সদস্য মনির হোসের মেম্বার, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমু গাজী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব তালুকদার, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম মিজি, দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইয়াসিন কাজী, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক হিরু হাওলাদার, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শরিফ তালুকদার, ৬নং ওয়ার্ড আওযামী লীগ সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খান, সাধারণ সম্পাদক নেছার বহদ্দার, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নোমান মিজি, সাধারণ সম্পাদক আহসান মিজি, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ ঢালী, সাধারণ সম্পাদক সামছল হক তপাদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার খান, সাধারণ সমম্পাদক মঞ্জিল খান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ আরিফ তালুকদার, যুবলীগ নেতা আওলাদ হোসেন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউসার হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ মুন্না, যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদ খান, আসিফুল ইসলাম, মোঃ কবির হোসেন গাজী, রুবেল খান, ইমন হোসেন মিজি, মোঃ হাছান বেপারী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আমানত, নূরে আলম, সাদ্দম গাজী, সদস্য অপু পাটওয়ারী।