প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি
২০ টাকার শীতের পোশাকের দোকানে ভিড় বাড়ছে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ঢেউ শীতের পোশাকেও লেগেছে। এটা পুরানো কথা হলেও পৌষের শেষে পথে শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরিবের শপিংমল খ্যাত ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ায় এর উপলব্ধি জেগেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শীতের এ অবস্থা হলে উত্তরাঞ্চলে কী অবস্থা তা বোঝাই যায়।
হঠাৎ করেই শীত জেঁকে বসেছে। ফরিদগঞ্জে হালকা বাতাস কনকনে ঠাণ্ডাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। পৌষের শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে শেষের দিকে এসে শীতের তীব্রতার সাথে যুক্ত হয়েছে ঘন কুয়াশা। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে স্বল্প আয়ের লোকজন শপিংমল ও পোশাকের দোকানগুলোতে ছুটছে।
নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষজনের জন্যে ভরসা হয়ে উঠেছে রাস্তার পাশের ফুটপাতের দোকানগুলো। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুটপাতের দোকান ও বাজারগুলো থেকে শীতের কাপড় কিনছে। ফলে শীতের পোশাক বিক্রির ধুম পড়েছে।
শীতের পোশাকের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দের মধ্যে রয়েছে সামনের দিকে চেইন বা বোতাম দেয়া সুয়েটার বা জ্যাকেট, গোল গলা, ভি গলা, চিকন কলারের সোয়েটার, টি-শার্ট, কাপড়ের জুতা, জ্যাকেট, ব্লেজার ইত্যাদি। আরো রয়েছে কার্টুন চিত্রের বাচ্চাদের বিভিন্ন টুপি। বাহারি কাজ ও ডিজাইনের শালের কালেকশনও লক্ষ্যণীয়। এছাড়া বিভিন্ন রকমের কম্বল ও কাঁথাও বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিকে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বাড়ায় সর্দি, কাশিসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষজন। উপজেলা সদরের প্রেসক্লাব চত্বর, শহীদ মিনার এলাকা, বাসস্ট্যান্ড, নয়াহাট বাজার, রূপসা বাজার, গৃদকালিন্দিয়া বাজার, ধানুয়া বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত ও মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা জমজমাট।
ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরের ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রেতা চান মিয়া জানান, আমি নামমাত্র মূল্যে শীতের পোশাক বিক্রি করছি। যাতে গরিব মানুষ শীত নিবারণ করতে পারে। মাত্র ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত শীতের পোশাকের সর্বোচ্চ দাম।
রূপসা বাজারের ব্যবসায়ী নূরে আলম বলেন, আমরা বছরে দুই ঈদ ছাড়া এই শীতে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি। তবে শীত এলে আবার এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান।
কাছিয়াড়া এলাকার বাসিন্দা ক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আর দু-তিন দিন পরেই মাঘ মাস আসছে। শীতের প্রভাব আরো বেশি পড়ার আগেই এবার শীতের পোশাক কেনার জন্যে ফুটপাতের মার্কেটে আসছি।
মহসীন মিয়া নামের আরেক ক্রেতা জানান, আমরা গরিব মানুষ, তাই আমাদের বেশি দামের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই। বর্তমানে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ফুটপাতের পোশাকই আমাদের একমাত্র ভরসা। সামর্থ্য না থাকায় আমি প্রতি বছরই ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে শীতের পোশাক কিনে থাকি। তাই এ বছরও কিনলাম। ফুটপাতের দোকান হলো গরিবের শপিংমল।