প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরের বড় স্টেশন ইলিশ অবতরণ কেন্দ্রে আবারো বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে একদিনেই ইলিশ ভর্তি ১৫ ফিশিং বোট আসে এই ঘাটে। যা এবারের ইলিশ মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে জানা যায়। চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ শবেবরাত সরকার জানান, সাগরে সিগন্যাল ও ইলিশের ‘জোবা’ থাকায় সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক ফিশিং বোট উপরে উঠে আসে। তার মধ্য থেকে চাঁদপুরে কিছু বোট মাছ নিয়ে এসেছে। তবে চাঁদপুরের নদ-নদীর ইলিশ খুবই কম।
তিনি বলেন, সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়ায় চাঁদপুরের পাইকারী মৎস্য আড়তে ইলিশের সরবরাহ গত দুদিন বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের আমদানি কিছুটা বাড়ার কারণে দামও কেজিতে দেড়শ’-দুইশত টাকা ও মণে দুই আড়াই হাজার টাকা কমেছে বলে দাবি ওই মৎস্য ব্যবসায়ী নেতার।
এতেই মৎস্য আড়ত জমে উঠেছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন পাইকার ও খুচরা ক্রেতা ও শ্রমিকরা। যদিও স্থানীয় নদীতে খুবই কম ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। অধিকাংশই সামুদ্রিক বলে জানান আড়তদাররা। নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলার দৌলত খাঁ, চরফ্যাশন, লক্ষ্মীপুর ও আশপাশের অঞ্চল থেকেই মূলত ট্রলার ও সড়কযোগে ট্রাকে করে এসব মাছ আসছে চাঁদপুর মৎস্য ঘাটে। এর মধ্যে হাতিয়া ও দৌলতখাঁ এলাকার ইলিশই বেশি। বৃষ্টির কারণে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান সেখানকার জেলেরা।
গফুর জমাদার আড়তের মিজান শেখ জানান, এই দুই-একদিন ইলিশের এমন আমাদানি থাকবে। পরে এমন ফিশিং বোট দেখা যাবে না।
সরজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভরা মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার এক কেজি ইলিশের জন্যে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১৫০০-১৮০০ টাকা। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই বাজারে এসে হতাশ ক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, ভরা মৌসুমে চাঁদপুরের ইলিশের চাহিদা থাকে বেশি। এ সুযোগে দামও বেশি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছ কম ধরা পড়ায় দাম বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
জেলেরা জানিয়েছেন, সাগরে প্রচুর ধরা পড়লেও চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় এখনও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা। নদীতে জাল ফেলে যে পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন, তাতে খরচের টাকা উঠাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। মৌসুমের আর কয়েকটা দিন বাকি। এই সময়ে প্রচুর ইলিশ পাওয়ার আশায় রয়েছেন তারা। এরপর ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অভিযান। কার্তিক মাস আসলেতো এমন ইলিশ আর দেখা যাবে না।